‘শেখ হাসিনা প্রতিহিংসার রাজনীতি কায়েম করেছিল’
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা দেশে প্রতিহিংসার রাজনীতি কায়েম করেছিলেন। ৭২ এর চেতনার মাধ্যমে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিনতাই করা হয়েছিল। ২০২৪ সালের দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর মনে রাখতে হবে পতিত স্বৈরাচারী শক্তি বসে নেই। তারা ষড়যন্ত্র করছে ছাত্র জনতার অভূতপূর্ব বিজয় ছিনতাই করার জন্য।’
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস বগুড়া জেলা শাখা। আয়োজিত শাপলা চত্বর ও জুলাই গণহত্যার বিচার দাবিতে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দোসররা প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্থানে ঘাপটি মেরে বসে আছেন আমাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার যুদ্ধ কলুষিত করার জন্য। আমাদের সকলকে সোচ্চার থাকতে হবে যেকোন ষড়যন্ত্র মোকাবেলায়।’
মামুনুল হক বলেন ‘আওয়ামী লীগ নেতাদের শুধু একারণে বিচার হওয়া উচিত যে, মানসিক প্রতিবন্ধী শেখ হাসিনাকে এতো বছর ধরে এদেশের মানুষের কাঁধের ওপর তারা বসিয়ে রেখেছিল। মানসিক বিকারগ্রস্ত শেখ হাসিনা অব্যহতভাবে চেষ্টা চালিয়ে গেছে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য। এটা তার চেষ্টা ছিল, সাধনা ছিল। ৩০ হাজার মায়ের সন্তান ও যুবকদেরকে গুম, খুন করেছেন শেখ হাসিনা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের দাবি ওইসব গুম-খুনের বিচার করতে হবে।’
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা এহসানুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা মুফতি মনোয়ার হোসেন, মাওলানা আব্দুল্লাহ, মাওলানা মুফতি ফজলুল করিম, মুফতি সালাহুদ্দিন মাসউদ, মাওলানা মুফতি শফী কাসেমী, জেলার সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা শফিকুর রহমান।