‘সব দলকে নিষিদ্ধ করে একদলীয়ভাবে টিকে থাকাই সরকারের লক্ষ্য’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সরকারের লক্ষ্য সব দলকে নিষিদ্ধ করে একদলীয়ভাবে টিকে থাকা। কোটা সংস্কারে ছাত্ররা আলোচনায় বসতে চেয়েছিল কিন্তু সরকার জমিদার সুলভ আচরণ করে ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে। এই সরকার দেশের জনগণকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ত্রাসের রাজত্ব করতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গ্রেফতারকৃত ছাত্রদের অবিলম্বে মুক্তি জানিয়ে মহাসচিব বলেন, এ ধরণের ঘটনা রাজনীতিতে দেখিনি। গোটা জাতির সাথে মশকরা করা হয়েছে ছাত্রদের মৃত্যুকে হেয় করে দেখা হচ্ছে। সরকারের কোন প্রতিনিধিত্ব নেই। একটা অদৃশ্য শক্তি এই দেশ পরিচালনা করছে। প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগের সরকার বলে কিছু নেই। অদৃশ্য শক্তি অরাজনৈতিক পদ্ধতিতে দেশ পরিচালনা করছে।

মির্জা ফখরুল আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর উদেশ্যে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত প্রজাতন্ত্রের নিয়ম মেনে কাজ করা কোন দলের হয়ে নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যেরা কিছু নেতার কথায় সভা সমাবেশে বাধা দিচ্ছে।

মহাসচিব বলেন, আন্দোলনের প্রথম থেকে বিএনপি জামাতের উপর দোষ দেওয়া হচ্ছে। আর আগে থেকে যদি তারা এতকিছু জানতেন তাহলে প্রথমেই কেন থামালেন না। আপনারা কি চাচ্ছিলেন মানুষের এভাবেই প্রাণ যাক?

নতুন প্রজন্মকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন বিএনপি ছাত্রদের পাশে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের (সাধারণ শিক্ষার্থী) অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে যে সংগ্রাম আন্দোলন তারা করেছে তাদেরকে সেলুট জানান। বাংলাদেশের জনগণের আন্দোলন কেউ রুখে দিতে পারেনি। এখন জনগণের প্রতিনিধি নেই। সরকারের জবাবদিহিতা নেই। দেশপ্রেমিক মানুষ রাস্তায় নেমেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংস্কৃতিক বিভিন্ন ব্যক্তিত্বরা এগিয়ে আসছেন। সবাই সরকারের পতন চায়।

এদেশে জঙ্গিবাদের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠোপোষক হলো আওয়ামী লীগ। জাতিসংঘের এ হত্যার বিষয়ে তদন্ত ও হস্তক্ষেপ করা উচিত। পুলিশের গুলিতে নির্বিচারে অনেক শিশু মারা গেছে, রিমান্ডে অমানবিক নির্যাতন করা হচ্ছে। অবিলম্বে এসব নির্দয় দমন নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে।

অবিলম্বে কারফিউ প্রত্যাহার, সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়ার সাথে সভা সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে রাজনীতিকে উন্মুক্ত ও গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান তিনি।