বেনজীর-আজিজের পদায়ন মেধা ও সিনিয়রিটিতে: কাদের

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ আওয়ামী লীগের লোক নয় জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বেনজীর আহমেদ সিনিয়রিটি ও মেধা নিয়ে আইজিপি হয়েছিল। আজিজ আহমেদ তার যোগ্যতায় ও সিনিয়রিটিতে সেনাপ্রধান হয়েছিল।

মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস এবং ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গণে লক্ষ্য করেছি, বিরোধীদল বিএনপি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছে, অর্থপাচারের বিরুদ্ধে কথা বলছে। তাদের দলের প্রধান দুর্নীতির অভিযোগে সাজা ভোগ করছে। প্রধানমন্ত্রীর উদারতায় বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী নিজেই এটা করেছেন। বিএনপি আন্দোলন করতে পারেনি, তাদের আন্দোলনে জনগণ সম্পৃক্ত হয়নি। হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনেও অংশ নেয়নি।

বাংলাদেশের ইতিহাসে যত নির্বাচন হয়েছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন তার মধ্যে শান্তিপূর্ণ হয়েছে মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিরোধীদল বিএনপি না আসলেও এ নির্বাচন সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ হয়েছে। ৭৫ পরবর্তী সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল ছিলো এবারের নির্বাচন। উপজেলা নির্বাচন নিয়েও এতো কথা, জনগণ নাকি ভোট দিতে যায় না। অথচ প্রথম ধাপে ৩৬, দ্বিতীয় ধাপে ৩৭ ও তৃতীয় ধাপে ৩৮ শতাংশেরও বেশি ভোটার উপস্থিতি ছিলো। জাতীয় নির্বাচনেও ৪২ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি ছিলো। এখানে কোন প্রাণহানি হয়নি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে কাউকে পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‍্যাবের, প্রশাসনের বড় পদে বসায়নি। ৮ জনকে পাশ কাটিয়ে ৯ নম্বর ব্যক্তি মঈনু আহমেদকে সেনা প্রধান করেছে। কে করেছে? বেগম খালেদা জিয়া। আশরাফুল, রকিবুল হুদা, কোহিনূর কার সৃষ্টি? মির্জা ফখরুল অন্ধকারে ঢিল ছুড়ছেন। ভুলে গেছেন, আপনার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অস্ত্র চোরাচালান, মানি লন্ডারিংয়ের মামলায়, দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশে বিদেশে সর্বত্রই একজন সৎ পলিটিশিয়ান হিসেবে পরিচিত। তার সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোন অবকাশ নেই।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের প্রধান নেতাকে দুর্নীতিবাজ? সাক্ষ্যপ্রমাণ নিয়ে আসেন। দুর্নীতিবাজ আপনাদের দলের চোরের রাজা, চোরের মহারাজা সবই বিএনপি। বিএনপি দুর্নীতিবাজদের জন্মদাতা।

টিআইবি ও সুজনের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে টিআইবি একটা আছে, সুজন আছে, সুজন না কুজন জানিনা। ফখরুল, গয়েশ্বর যে সুরে কথা বলে তারাও একই সুরে কথা বলে। আজকে মানুষের প্রশ্ন, টিআইবি, সুজন কি বিএনপির 'বি' টিম? যে সুরে কথা বলে, কোন পার্থক্য নাই, একই সুরে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে।

দলের নেতাকর্মীদের কারো কোন অসুবিধা থাকলে, সচ্ছলতায় ঘাটতি থাকলে দলকে জানানোর কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের অস্বচ্ছল, অসুস্থ লোকের খবর পেলেই তিনি ব্যবস্থা নেন। চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন, অস্বচ্ছলতার ব্যাপারে তার সদয় দৃষ্টি আমরা দেখতে পাই।

দলের নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, দলের বদনাম করে কেউ কোন অপকর্ম করবেন না। বাইরে থেকে বেনজীরকে আমরা যেভাবে দেখেছি, তিনি যে আরেক বেনজীর ভিতর থেকে সেটাতো এখন সত্য হয়ে দেখা দিচ্ছে। একজন মানুষের চলতে ফিরতে কত লাগে? দলের নেতা যদি দলের কর্মীদের কাছে টাকা পয়সা চায় এটা খুব লজ্জার বিষয়।

প্রতিনিধি সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সভা সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। এসময় উত্তর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।