‘এমপি আনার অপরাধী হলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে কেন আসলো না’
ভারতে খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম কোনো অপরাধে যুক্ত থাকলে তা সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে কেন আসলো না বলে সাংবাদিকদের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নবগঠিত যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির সদস্যদের পরিচিতি সভা ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সংসদ সদস্য কলকাতায় মারা গেছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে। ইনভেস্টিগেশন সম্পন্ন হওয়ার আগে আমরা তো বলতে পারছি না। তবে আওয়ামী লীগের সে কি ছিল সেটা বড় কথা নয়, সে যে এলাকার প্রতিনিধি ছিল সে এলাকায় গিয়ে দেখবেন, তার জন্য কত শোকার্ত মানুষ। সে প্রতিনিয়ত সারা এলাকায় মোটরসাইকেলে করে ঘুরে বেড়াতো। তাকে আমরা নমিনেশন দিয়েছি তার জনপ্রিয়তার জন্য। এখন সে ভেতরে কোনো অপরাধ করে কি না.... প্রধানমন্ত্রী কিন্তু জিরো টলারেন্স। কোনো অন্যায়কারী, অপরাধী দলের লোক হলে তিনি কিন্তু ছাড় পাবে না। কিন্তু এটা তো নিশ্চিত হতে হবে।
সাংবাদিক উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা এখন বলছেন, কলকাতায় চোরাকারবারি... তো আমি সাংবাদিকদের বলি, তিন তিন বার জাতীয় সংসদে এমপি নির্বাচিত হয়েছে। তখন আপনারা কি এতথ্যটা এনেছিলেন? এখন ভারতীয় সাংবাদিকরা কোনো তথ্য আনলো, সেটার উদ্ধৃতি দিচ্ছেন কেন? আপনারা তো এদেশের নাগরিক। সে যদি অপরাধী হয়, তাহলে সে কথা আপনাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে কেন আসলো না? এটা আমারও প্রশ্ন।
‘ছাত্রলীগ, যুবলীগ নাকি অর্থপাচার করে’ প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, অর্থপাচারের জন্য আপনারা (বিএনপি) বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত অপরাধী। সিঙ্গাপুরে, আমেরিকায় অর্থপাচার কে করেছে? সে অর্থপাচারকারী তারেক রহমান এবং কুকু। এই দু’জনের পাচার করা অর্থের একটা অংশ সিঙ্গাপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এফবিআই ঢাকায় এসে তারেক রহমানের মামলায় সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। তারা নিজেরা যে অপরাধের জন্য অপরাধী, সে দায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের উপর চাপাতে চায়। এটা যে কত বড় মিথ্যাচার।
বিএনপি মহাসচিবের মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আমি একটা প্রশ্ন করেছি, ১৫ আগস্টের সাথে যদি জিয়াউর রহমান জড়িত না থাকে, তাহলে কিলারকে নিরাপদে বিদেশে কে পাঠয়েছে? বিভিন্ন দূতাবাসে খুনিদের চাকরি দিয়েছে। ৫ম সংশোধনীতে খুনিদের বিচার রোধ করার জন্য জিয়াউর রহমান সংবিধানের আইনে খুনিদের বিচার বন্ধ করলেন। কেন তিনি সেটা করতে গেলেন?
মেজর হাফিজের প্রতি প্রশ্ন রেখে সেতুমন্ত্রী বলেন, মেজর হাফিজ বড় বড় কথা বলেন, হাফিজ সাহেবকে বলি, আপনি যে বইটি স্বাধীনতার পরে লিখেছিলেন, প্রথম সংস্করণে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে তথ্য আপনি দিয়েছিলেন, বিএনপিতে যোগ দেওয়ার পর সে তথ্যটি কেন পাল্টে দিলেন? এর জবাব কি?
জিয়াউর রহমান বাকশালে যোগ দিয়েছিলেন জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সেনাপ্রধান বাকশালে যোগ দেওয়া সঠিক ব্যক্তি, কিন্তু উপ-প্রধান কিন্তু বাকশালে যোগ দেওয়ার উপযুক্ত ছিলেন না। তিনি দরখাস্ত করে বঙ্গবন্ধুর কাছে, কাকুতি মিনতি করে বাকশালের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হয়েছিলেন, প্রমাণ আছে। এই জিনিসটিকেও তারা ধামাচাপা দিতে চায়। তিনি বাকশাল কমিটির ৭১ নাম্বার সদস্য ছিলেন।