একমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন সম্ভব: হানিফ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, কীসের আন্দোলন করতে চান! আপনাদের আন্দোলনের হেতু কী!

তিনি বলেন, সরকারের পরিবর্তন নির্বাচনের মাধ্যমে সম্ভব। নির্বাচন ছাড়া কখনো বৈধভাবে সম্ভব না। আরেকটি আছে, অগণতান্ত্রিক পন্থায়। এই দেশের মানুষ সেটা কখনো চায় না।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১১ মে) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশের বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।

মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, বাংলাদেশ কখনো অবৈধপন্থায় সরকার গঠনের সুযোগ দেবে না। যারাই চেষ্টা করেছে, তাদের অতীতে যেমন এই দেশের মানুষ রাজপথে প্রতিহত করেছে, ভবিষ্যতেও তেমনি দেশের মানুষ এসব চক্রান্ত নস্যাৎ করে দেবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দিয়ে উন্নয়ন অগ্রগতির ধারায় এগিয়ে যাবো।

ক্ষমতা পরিবর্তনের একমাত্র মাধ্যম নির্বাচন মন্তব্য করে বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক বলেন, স্থানীয় নির্বাচনের মাধ্যমে যেমন স্থানীয় মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা যায়, তেমনি জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করা যায়। কিন্তু আপনারা তো নির্বাচনে আসেন না; তাহলে আপনাদের আন্দোলনের হেতুটা কী!

তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষ শান্তি চায়। উন্নয়ন চায়। অগ্রগতি চায়। পেছন দিকে ফিরে যেতে চায় না। হত্যা, অবরোধের মাধ্যমে জ্বালাও-পোড়াও পছন্দ করে না। বাংলাদেশকে নিয়ে বিশ্বের মানুষ একসময় হতাশা প্রকাশ করেছিল। এখন তারাই আবার বলছে, ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চান। আমরা যারা সে উন্নয়ন সমৃদ্ধি দেখতে চাই, তারা শেখ হাসিনাকে সমর্থন দিয়ে দেশকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে।

এসময় বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, শুক্রবার তারা মা দিবস উপলক্ষে মা সমাবেশ করেছে অথচ গত ১৫ বছর তারা ক্ষমতায় যাবার জন্য কত মায়ের বুক খালি করেছে! মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে! তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, বাংলাদেশ যখন সারাবিশ্বে একটি আত্নমর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে দাঁড়াচ্ছে তখন এ অপশক্তি ষড়যন্ত্র করছে। তাদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মানুষ রুখে দাঁড়িয়ে চার চারবার তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা নির্বাচনের নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে ক্ষমতায় আসতে চায়।

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লায়লী, প্রমুখ।