নির্বাচন সার্বিকভাবে ফেয়ার হয়েছে, বলার সুযোগ নেই: চুন্নু

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন সার্বিকভাবে ফেয়ার হয়েছে এ কথা বলার সুযোগ নেই। কিছু কিছু জায়গায় সুষ্ঠু ভোট হয়েছে, অনেক জায়গায় সুষ্ঠু হয় নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে আমাদের অনেকগুলো সমস্যা হয়েছে। বিভিন্ন মহল আমাদের আশ্বস্ত করেছিল নির্বাচন ফেয়ার হবে, তারা কথা রাখে নি। উপযুক্ত প্রমাণ হলো আমাদের ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার প্রার্থী। সেখানে আমাদের প্রার্থী ৪৪ হাজার ভোট পেয়েছেন। ওই আসনে জাল ভোট দেওয়ার প্রমাণও রয়েছে। আমাদের প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে দরখাস্ত দিয়েছে, ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দিয়েছে। সুনামগঞ্জে ১১টার পর অনেক সেন্টারে সিল মারা হয়েছে। সেখানে সরকারের লোকরাই জড়িত ছিল। যে কারণে আমরা কাঙ্খিত আসন পাইনি।

তিনি বলেন, যেটুকু আসন পেয়েছি, আমাদের ভয়েজ উচ্চসর থাকবে। সরকারকে বাধ্য করতে যা যা করা দরকার করা হবে। বেশি সংখ্যক সংসদ সদস্য থাকলেও লাভ নেই যদি সরকারের ভুলগুলো তুলে না ধরে। জবাবদিহির আওতায় না আনা যায়। সংসদে যদি সত্যিকারের বিরোধী মনোভাব না থাকে। সেজন্য জাতীয় পার্টি সত্যিকারের বিরোধীদলের মনোভাব নিয়ে সংসদে থাকবে।

এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, স্বাধীনতার পর প্রথম সংসদে বিরোধীদলের ১ জন সংসদ সদস্য ছিলেন সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত। তিনি একাই সংসদকে কাঁপিয়ে তুলেছিলেন। আমরাতো ১১ জন আছি, অপেক্ষা করুন।

বিরোধীদল কে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, সংসদে বিরোধীদল হিসেবে স্পিকার কাকে রিকগনাইজড করবে সেটা তিনি ভালো বলতে পারবেন। রিকগনাইজড করলে কিছু সুযোগ সুবিধা পাবে। ওনি করলেও আমরা বিরোধীদল, না করলেও আমরা বিরোধীদল।

এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, জাতীয় পার্টির ৯৯ শতাংশ নেতাকর্মী শীর্ষ নেতার প্রতি আস্থাশীল। কয়েক জনের আস্থা না থাকলে দলের কোন ক্ষতি হবে বলে আমি মনে কি না। আমরা হাজার হাজার শতশত নেতাকে বহিষ্কার করিনি। মাত্র ৪ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ বিএনপিতেও এমন বহিষ্কারের ঘটনা রয়েছে। রাজনৈতিক দল একটি ট্রেনের মতো এখানে অনেক যাত্রী উঠতেও পারে আবার নেমে যেতেও পারে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কোন কারণ দেখিনা।

অভিজ্ঞ নেতাদের বহিষ্কার প্রসঙ্গে বলেন, অনেক সময় অভিজ্ঞতা বেশি হয়ে গেলে দলের নেতৃত্বকে মানতে চায় না। অভিজ্ঞতার আবার লসও আছে। অনেক সময় কম অভিজ্ঞতা নেতার প্রতি আনুগত্য থাকলে বেশি ভালো।