দেশীয়-আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি: জিএম কাদের

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জিএম কাদের

জিএম কাদের

সরকারের বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগ তুলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টিকে ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে। আমাদের ভরাডুবি হয়নি। জাতীয় পার্টিকে শেষ করার জন্য এত নাটক সাজানো হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর নগরীর সেনপাড়ায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে জি এম কাদের বলেন, আশ্বাস দিয়ে নির্বাচনে এনে কোরবানি করা হয়েছে জাতীয় পার্টিকে। দলের মধ্যে সরকারের এজেন্ট ঢুকিয়ে দিয়ে দলকে স্বাভাবিকভাবে চলতে দেওয়া হচ্ছে না। জাতীয় পার্টিকে ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান অভিযোগ করে বলেন, এক এক করে কোনো রাজনৈতিক দলকে টিকতে দেওয়া হবে না, কাউকে ঘরে ঢুকিয়ে, কাউকে জেলখানায় ঢুকিয়ে, কাউকে মাঠে নামিয়ে দিয়ে শেষ করা হবে। শুধু একটি দল থাকবে বাংলাদেশে, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হবে, সেই নীলনকশা অনুযায়ী দেশ চালানো হচ্ছে।

জি এম কাদের বলেন, আমাদের ভরাডুবি হয়নি, জাতীয় পার্টিকে শেষ করার জন্য এত নাটক সাজানো হয়েছিল। আমরা জনগণের বিশ্বাস ও ভালোবাসা নিয়ে দলকে শক্তিশালী জায়গায় নিয়ে যাব।

সংসদে বিরোধীদল কে হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, এটা আমি জানি না। দলের সংসদ সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে দেখতে হবে।

সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে জি এম কাদের আরও বলেন, আমাদের (জাতীয় পার্টির) দলের মধ্যে অন্তঃকোন্দল সৃষ্টি করেছে সরকার। তাদের শীর্ষমহল থেকে কিছু লোককে আমাদের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে, যারা আমাদের বিরোধিতা করবে, দলের বিরোধিতা করবে, তাদের (সরকারের) পারপাস সার্ভ করবে। আমরা অনেক সমস্যা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি, টিকে থাকতে চাচ্ছি, জনগণের রাজনীতি করতে চাচ্ছি।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়েছিলাম, যে নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করা হবে না। ১১টি (আসন) পেয়েছি, না ৫০টি পেয়েছি, সেটা বড় কথা নয়, ইলেকশনটা সঠিক হয়নি। এই ইলেকশনে ভোটারদের প্রত্যাশা অনুযায়ী রেজাল্ট হয়নি। যেখানে নৌকা মার্কার সঙ্গে আমাদের প্রার্থীরা সরাসরি ভোট করেছে, সেখানে প্রকৃতপক্ষে কোনো ভোটই হয়নি।