সম্মানজনক আসন ভাগাভাগি চান ইনু

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের আসন ভাগাভাগি যেন সম্মানজনক হয়।

তিনি বলেন, বর্তমানে ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের ১০ জন সংসদ সদস্য আছেন। এবার আমাদের প্রত্যাশা ২০ জনের। তবে আমরা সম্মানজনক আসন ভাগাভাগি চাই।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তিনি এ কথা জানান।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে হাসানুল হক ইনু বলেন, জোটের প্রার্থীরা এবারও নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন। তিনি বলেন, যেকোনো লেনদেনের দর কষাকষি হবে, মন কষাকষি হবে। বন্ধুদের মধ্যে দরকষাকষি হয়, মন কষাকষি হয়। দিনের শেষে হাসিমুখে হাত ধরাধরি করে বেরিয়ে যাব। এখানে জোটের প্রার্থী আসবে, সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী উঠে যাবে।

তিনি আরও বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে দলীয় কৌশল কি হবে সেটা বিবেচনা করার জন্য আমরা শেখ হাসিনাকে বলেছি। সময় আছে, আলোচনা করে দেখব। প্রার্থীরা নৌকা মার্কায় নির্বাচন করবে। 

আমির হোসেন আমুর ইস্কাটনের বাসায় এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার।

এদিকে, মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজ-কালের মধ্যে ১৪ দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করা হবে।

তিনি বলেন, সব জায়গায় স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড়িয়েছে। ১৪ দলের সঙ্গে আমাদের একটা সমঝোতা অবশ্যই হবে। আজকালের ভেতরেই আসনের বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থীদের লড়তে হবে। কারণ স্বতন্ত্র প্রার্থীকে চাপ দিয়ে নির্বাচন থেকে সরাতে গেলে তা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হবে।

১৪ দলের জোটের আসন প্রত্যাশা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৪ দলীয় জোটের প্রত্যাশা কত, আর তারা পাবে তার বাস্তবতা কত, দুইটা মিলেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব। তাদের কিছু হয়তো নৌকায় করবে, কিন্তু তাদের অন্যান্য প্রার্থীরা তাদের নিজেদের মার্কায় অনেকেই নির্বাচন করবে।

এর আগে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা। দীর্ঘ পৌনে চার ঘণ্টার বৈঠকে সম্পন্ন হয়নি আসন ভাগাভাগি।

আসন বণ্টন ইস্যুতে জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমের ওপর দায়িত্ব দিয়ে বৈঠক শেষ হয়।