‘দেশের অর্থ ধ্বংস করে সরকার নতুন রাজনৈতিক দল তৈরি করছে’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

দেশের অর্থ ধ্বংস করে সরকার নতুন রাজনৈতিক দল তৈরি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

রুহুল কবির রিজভী বলেন, জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল কখনো অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ভাগিয়ে নেয় না। এ কাজ করে গ্রাম্য মোড়ল, টাউট, বাজে লোকেরা। সেই কাজ বর্তমান সরকার এখন করছে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনগণের কাছে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জিতবেন না তিনি। এজন্য নির্বাচনকে সামনে রেখে যত ধরনের গণবিরোধী কাজ আছে সব করছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে জনগণকে দমন করার জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন।

বিএনপির চলমান আন্দোলনকে দমন করার জন্য সরকারের দলীয় এবং রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে একত্রিত করা হয়েছে বলে তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাষ্ট্রশক্তিকে সাজানো হয়েছে দলীয় চেতনায়। সরকার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে বিকশিত না করে, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, নির্বাচন, র‍্যাব, পুলিশকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেই প্রচেষ্টা তারা চালিয়েছে। নিজেদের পছন্দের লোক নিয়োগ দিয়েছে। তারাই আজকে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে সরকারে লক্ষ্য, উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করছে। আওয়ামী লীগ তাদের যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে নিজস্ব একটা বাহিনী তৈরি করেছে; যা জনগণ ও গণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে।

রিজভী বলেন, গণমাধ্যমের মাধ্যমে জেনেছি আমরা যে- র‌্যাবের জন্য ৪২৮টি কেন্দ্র বানানো হচ্ছে সারা দেশে। এদের কাজ কী? সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি গণতান্ত্রিক দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এভাবে নিয়োগ করা হয়, তাদেরকে দিয়ে সারাদেশে একেকটি কেন্দ্র বানানো হয়… সেখান থেকে তারা কী করবে? তারা করবে জনগণ যাতে কোনো ভাবে তাদের বিস্ফোরণ না ঘটে। 

সামনে একতরফা নির্বাচনের যে মাস্টার প্ল্যান শেখ হাসিনা করেছেন, সেই মাস্টার প্ল্যানকে বাস্তবায়ন করার জন্য নানাভাবে নেতাকর্মীদের বেপরোয়াভাবে গ্রেফতার করছেন। যে গ্রেফতারি অভিযান চলছে তা বৈশাখী ঝড়ের মত, সেই অভিযানটা তারা অব্যাহত রাখবেন। সেই কারণেই আজকে র‌্যাবের ৪২৮টি কেন্দ্র করা হয়েছে।