‘অফিস খোলার মানুষ পায় না যারা, তারা কি আন্দোলন করবে’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি বলেছিল তাদের জোটের সঙ্গীদের নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে, কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি সঙ্গীরাই তাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছে। গতকাল জেনারেল ইব্রাহীমের নেতৃত্বে কয়েকটা দল তাদের জোট থেকে বের হয়ে গেছে।’

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

রাঙ্গুনিয়ার অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার পৌর অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক এম. ইসকান্দর মিয়া তালুকদার।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপির নয়াপল্টনের অফিসে তালা সরকার কিংবা আওয়ামী লীগ লাগায়নি, নিজেদের লাগানো তালা নিজেরাই খোলার জন্য একজন মানুষ খুঁজে পাচ্ছে না। যে দল নিজেদের অফিসের তালা খোলার জন্য একজন মানুষ পর্যন্ত খুঁজে পায় না, তারা আবার কি আন্দোলন করবে।'

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ই‘সরাইলিরা ১৪ হাজার মানুষ মেরে ফেলেছে, তার মধ্যে সাড়ে ৯ হাজার শিশু এবং নারী। ইসরাইলিদের যারা মদদ দেয় তারা রাগ করবে বলে বিএনপি তাদের বিরুদ্ধে একটি বিবৃতি পর্যন্ত দেয়নি, একটি অক্ষর কথাও বলেনি। তাদের ওপর আল্লাহর আরশের গজব নাজিল হয়েছে।’

'অথচ গাজায় শিশু ও নারীদের হত্যার বিরুদ্ধে তেলআবিবে স্বয়ং ইহুদিরাই প্রতিবাদ জানিয়েছে, মিছিল করেছে' উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, 'আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে গিয়ে এর প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন, আমি প্রতিদিন দল ও সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি।'

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'বাংলাদেশে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য অনেক অপচেষ্টা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে যে উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে সেটি অভাবনীয়। বিএনপি এখন ইঁদুরের ন্যায় গর্তে ঢুকে গেছে। গর্ত থেকে ওপরের দিকে উঁকি দিয়ে কদিন পরপর কর্মসূচি দেয়। এবং তাদের কর্মসূচি কি? গাড়ি পোড়ানো, মানুষ পোড়ানো এবং স্কুলের মধ্যে আগুন দেয়া। তাই তাদের সাথে এখন আর মানুষ নেই।'

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সারাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পানির নীচ দিয়ে এভাবে টানেল নেই, কক্সবাজারেও ট্রেন গেছে। আজ থেকে একশত তেত্রিশ বছর আগে কক্সবাজারে ট্রেন নেওয়ার জন্য সমীক্ষা হয়েছিল, কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি। আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সেটি বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন।

চট্টগ্রাম উত্তরজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি এম হারুণ উর রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক লায়ন মোহাম্মদ শফিউল আলম, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার এবং স্থানীয় মৎস্যজীবী লীগ নেতা-কর্মীরা সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।