বিশ্ব গণতন্ত্র আমাদের পক্ষে আছে: আমির খসরু

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

জীবনের বিনিময়ে আমরা আমাদের অধিকার ফিরিয়ে আনবো। বিশ্ব বিবেক, বিশ্ব গণতন্ত্র আমাদের পক্ষে আছে, জনগণের পক্ষে আছে। আমাদের জয় সুনিশ্চিত। তবে এইজন্য আগামী দিনগুলোতে আমাদেরকে শপথ নিতে হবে প্রত্যেকটি ঘন্টা, প্রত্যেকটি দিন আন্দোলনের সাথে সবাইকে থাকতে হবে। এই দুইটা মাস দেশের মানুষের জন্য সেক্রিফাইস করতে হবে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত "১/১১ ষড়যন্ত্র, আজকের প্রেক্ষাপট: দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বাংলাদেশের গণতন্ত্র" শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

আমির খসরু বলেন, ‘এই ফ্যাসিস্ট সরকার ম্যাক্সিমাম যেটা করতে পারে সেটা হলো তার আয়ু কিছু বাড়িয়ে নিতে পারে। এই ফ্যাসিস্ট সরকার মেরে-ধরে, গুম, খুন এগুলো করে সাময়িক কিছু সময়ের জন্য তার আয়ু বাড়াতে পারে, আবার নাও পারে। তবে এই সরকারকে যেতে হবে। টাইম শেষ, এক্সপায়ার্ড ডেট শেষ হয়ে গেছে। তাদেরকে বিদায় নিতে হবে ’

তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র যতবার নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছে ততবার জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে। এর বাইরে দলীয় সরকারের অধীনে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সবগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এইজন্য জাতীয় ঐক্যমতের পরিপ্রেক্ষিতে একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। ২০০৮ সালের যে নির্বাচনটা হয়েছে সেটাতে আমরা অংশগ্রহণ করেছি। সেই নির্বাচনটি হয়েছে দুই বছর পরে। সংবিধানে আছে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। তাহলে ২০০৮ সালে নির্বাচনটা কি সংবিধান অনুযায়ী হয়েছে? এটা কি সংবিধানের বাহিরে না?’ 

তিনি আরও বলেন, এই সরকার জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলনের সাথে বেইমানি করেছে। জাতির সাথে বেইমানি করেছে। শুধু ভোটাধিকার করে নয়, ভাওতাবাজি করেছে সংবিধানের নামে। সংবিধান ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে যে কেয়ারটেকার সরকার এসেছিল, সেটা হয়েছে জাতীয় ঐক্য মতের পরিপ্রেক্ষিতে।’ 

আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আকরামুল হাসান, সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ ওয়াহিদুজ্জামান, সাবেক ছাত্রনেতা শাহ আব্দুল্লাহ আল বাকী, শুকুর মাহমুদ ববী, বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের সহকারী মহাসচিব এবং জিয়া পরিষদের উপদেষ্টা রোটারিয়ান এম. নাজমুল হাসান, বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান, বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক চৌধুরী প্রমুখ।