বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নাশকতা কি না খতিয়ে দেখছি: কাদের
আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে কি না, নাশকতা করছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বিকালে রাজধানীর আজিমপুর কলনী মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কঠিন সময়ে, পবিত্র ঈদের প্রস্তুতি লগ্নে বঙ্গবাজারে যে দুঃখজনক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। সেখানে অনেক মানুষের স্বপ্ন পুড়ে গেছে। অনেক মানুষের অনেক আকাঙ্খার মৃত্যু হয়েছে। সেখানে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এই সময়ে নিম্ন মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষের সবার প্রিয় বাজার বঙ্গবাজার। অনেক সাধারণ মানুষ এদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবে। সস্তা মূল্যে কিনতে পারবে না সেই দুঃখ, সেই বেদনা অনেক মানুষের মাঝে আছে।’
এই ঘটনায় বিএনপির বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষতি গ্রস্তদের পাশে না দাঁড়িয়ে, বিএনপি ও ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।
বঙ্গবাজারসহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নাশকতা কি না, আন্দোলনের ব্যর্থ হয়ে এই ঘটনা ঘটাচ্ছে কিনা, তা আমরা খতিয়ে দেখছি এবং তা তদন্ত করা দরকার। যারা আজকে মায়া কান্না করেন আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নাশকতার দিকে নজর দিয়েছে কিনা তা তদন্ত করা দরকার।
কাদের বলেন, সড়ক নিয়ে অনেক কথা বলেন সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪ জন যখন মারা গেল তার মধ্যে ২০ জন বাংলাদেশের লোক এখানে তো আপনারা কোন কথা বলেন নাই, সেখানে তো কাউকে দায়ী করেন নাই। বিএনপি এমন এক বিরোধী দল যদি বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু হয় তাহলে বলবে এটা আওয়ামী লীগ সরকারের দোষ।
বিএনপির ৮ তারিখের অবস্থান কর্মসূচির দিন আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করবে জানিয়ে কাদের বলেন, সংকটের মধ্যে মানুষের কষ্টের মানুষের পাশে পায় না, তারা সরকার বিরোধিতার নামে রোজার দিনে রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে। তারা রোজাদার মানুষকে কষ্ট দেয়। এই দল অতীতেও মানুষকে কষ্ট দিয়েছে।
যদি তারা রাস্তা বন্ধ করে অবরোধ করে, মানুষকে কষ্ট দেয়, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে উস্কানি, সন্ত্রাস করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় আমরা ওই ৩০০ জায়গায় শান্তিপূর্ণ শান্তি সমাবেশ করব।
বিএনপির আন্দোলনের হাঁট ভেঙ্গে গেছে দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলরন, বিএনপির আন্দোলনের হাঁট ভেঙ্গে গেছে, তা আর জোড়া লাগবেনা। ডিসেম্বর থেকে শুরু করে কত দৌড়ি, কত লোক ঢাকার বিছানা বালিশ, থালা বাটি কম্বল আয়োজন করল আজকে কোথায়?
ফখরুলের আন্দোলন চলে গেল পদযাত্রায়, তার মানে পতন যাত্রা, পতন যাত্রা থেকে তাদের আন্দোলন রাস্তায় বসে গেল। এখন তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে বিএনপি হাঁটুভাঙ্গা দল এখন কি তা আর দাঁড় করানো যাবে।
কাদের বলেন, "আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। বিএনপি'র আন্দোলন কত প্রকার ও কি কি তা এদেশের মানুষ দেখে ফেলেছে।
এদেশের মানুষ কষ্টের মধ্যেও শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করে। শেখ হাসিনা সৎ মানুষ, মানুষের জন্য তার ভালোবাসা আছে সেজন্য রাতের বেলায় যে কেউ দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে। কিভাবে জিনিসপত্রের দাম সামাল দেওয়া যায়।
এই দেশের মানুষ যাতে স্বস্তিতে ঈদ করতে পারে সেই চিন্তা একমাত্র শেখ হাসিনাই করে।
বিএনপি যে নিরপেক্ষ লোকের কথা বলেন, সেই নিরপেক্ষ লোকটি কে জা জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, বিএনপি সুষ্ঠু ভোটের নিশ্চয়তা না পেলে নির্বাচন যাবেনা। ভোটে যাওয়ার জন্য একজন নিরপেক্ষ লোক দরকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার দরকার। মির্জা ফখরুলকে চ্যালেঞ্জ করে বলছি আপনাদের নিরপেক্ষ লোকটা কে?
নিরপেক্ষ লোক তারা চায় না তারা তাদের পক্ষের লোক চাই। তত্ত্বাবধায়কের নামে ২০০১ সালের মতন নির্বাচন করবে। কিভাবে তারা ক্ষমতা আর সেই ধরনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিএনপি চাই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলার মানুষ চায় না।