দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশের ডাক বিএনপির

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবা গণসমাবেশের ডাক বিএনপির

দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবা গণসমাবেশের ডাক বিএনপির

জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকাসহ ১০ বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গুলশানে দলটির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞাপন

বিএনপির মহাসচিব জানান, গত সোমবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দলের এই সিদ্ধান্ত জানাতে আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম বিভাগ দিয়ে শুরু হবে এই সমাবেশ। সর্বশেষ সমাবেশ হবে ১০ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকায়।

ফখরুল বলেন, ‘সরকারের চাল, ডাল, জ্বালানি তেল, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, চলমান আন্দোলনে ভোলায় নুরে আলম ও আব্দুর রহিম, নারায়ণগঞ্জে শাওন, মুন্সিগঞ্জে শহিদুল ইসলাম শাওন ও যশোরে আব্দুল আলিমসহ পাঁচ নেতাকর্মী হত্যার প্রতিবাদে, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে আগামী ৮ অক্টোবর থেকে সারা দেশে বিভাগীয় গণসমাবেশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আগামী ৮ অক্টোবর চট্টগ্রামে, ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহে, ২২ অক্টোবর খুলনায়, ২৯ অক্টোবর রংপুরে, ৫ নভেম্বর বরিশালে, ১২ নভেম্বর ফরিদপুরে, ১৯ নভেম্বর সিলেটে, ২৬ নভেম্বর কুমিল্লায়, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে এবং ১০ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকায় এই গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।’

গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণে দলের ঘোষিত ১৬টির মধ্যে ১৪টি সমাবেশ করেছে বিএনপি। মিরপুরের পল্লবীর সমাবেশ সংঘর্ষের কারণে পণ্ড হয় এবং লালবাগের সমাবেশ স্থগিত করা হয়। ১ সেপ্টেম্বর বিএনপি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করে। এসব কর্মসূচি করতে গিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সংঘর্ষে সারা দেশে বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মী নিহত হয়।

বিএনপি চাচ্ছে যে কোনভাবেই হোক, আগামী বছরের ডিসেম্বরের শেষের দিকে বা ২০২৪ সালের জানুয়ারির শুরুতে নির্ধারিত পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা তাদের চলমান আন্দোলন চালিয়ে যাবে। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দলের নেতাকর্মীদের সক্রিয় রাখবে এবং জনসাধারণকে আরও বেশী করে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা চালাবে।,