জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এখন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শনিবার (১ ডিসেম্বর) বাসায় ফেরার সম্ভবনা রয়েছে বলে এরশাদের ঘনিষ্ঠ সুত্র জানিয়েছে।
সুত্রটি আরও জানিয়েছে, উন্নত চিকিৎসার জন্য রোববার (২ ডিসেম্বর) সিঙ্গাপুর যাওয়ার পরিকল্পনাও এই মুহূর্তে স্থগিত করা হয়েছে। এরশাদ আগের চেয়ে অনেক সুস্থবোধ করছেন। যে কারণে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার বিষয়ট পুনঃবিবেচনা করা হয়েছে। এখন শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে রয়েছে এই অবস্থা অব্যহত থাকলে আর নাও যেতে পারেন।
বর্তমানে সিএমএইচ হাসপাতালের অফিসার্স ওয়ার্ড যমুনায় চিকিৎসা নিচ্ছেন জাপা প্রেসিডেন্ট। এরশাদের হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে নানা রকম মুখরোচক আলোচনা চলছে। কেউ বলছেন, তিনি আসলে সুস্থ রয়েছেন, মনোনয়ন প্রত্যাশীদের চাপে হাসপাতালে সময় ক্ষেপণ করছেন।
আবার আরেকটি গ্রুপ রয়েছে যারা মনে করছে সরকারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ২০১৪ সালের মতো হাসপাতালে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।
২০১৪ সালের নির্বাচনের পুর্বে হঠাৎ এরশাদের নির্বাচন বর্জণের ঘোষণায় অনেকটা ধুম্রজাল তৈরি হয়। বেশ কয়েকদিন এরশাদ বাসায় আবদ্ধ জীবনযাপন করেন। এক সময় তাঁকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। তখন পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো, তিনি সুস্থ কিন্তু তাকে জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নির্বাচনের পরে মন্ত্রী পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর দূত হিসেবে শপথ নিয়ে বাসায় ফেরেন।
তবে এরশাদের ব্যক্তিগত সহকারি মেজব (অব.) খালেদ আক্তার এসব গুজব উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, স্যারের অনেক বয়স হয়েছে। অনেকদিন ধরেই নানা জটিলতায় ভুগছেন। কয়েক দফায় সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
অন্য আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, তিনি ঔষধ খেলে ভালো থাকেন না খেলে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কয়েকদিন ধরে ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারছেন না। ডাক্তার তাকে পুর্ণাঙ্গ বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সেটা সম্ভব হচ্ছে না। বাসায় থাকলে নেতাকর্মীরা কোনো কথাই মানতে চায় না। আবার কর্মীবান্ধব এরশাদও তাদেরকে ফেরাতে চান না। তাই কিছুটা সুস্থবোধ করলেও হাসপাতাল ছাড়ছেন না।