বিএনপি দেশের মঙ্গল চায় না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, তাদের কাজ হচ্ছে রাতের বেলা বিদেশি দূতাবাসে যাওয়া এবং লাল-নীল রঙিন পানি খাওয়া। এটাই তাদের রাজনীতি। তারা ঘরে পার্টি করে, বাইরেও পার্টি করে।
রোববার (১৭ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ‘স্বপ্ন ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, তারা বিদেশিদের কাছে এখন ধরনা দিচ্ছে। তারা নিজেদের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করতে চায়। বিএনপিকে বলব, রাস্তায়-রাস্তায় ঘোরা বাদ দিন। তিনি বলেন, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই নেত্রীকে (শেখ হাসিনা) যখন গ্রেপ্তার করা হয়, তখন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে দলকে সুসংগঠিত রাখা হয়। এর আগে যদি দলে ভাগ না করা হতো তাহলে ৭৯ ও ৯১ সালের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসত।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নেত্রী যখন কারাগারে ছিলেন, সেখানে বসেই তিনি দেশকে চালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। আজকে দেশে ছেড়া কাপড় পরা মানুষ দেখা যায় না। খালি পায়ে হাঁটা মানুষ দেখা যায় না। এগুলো কোনো ম্যাজিক নয়, এসব সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী বলেন, তারেক জিয়া একজন কুলাঙ্গার। সে বিদেশে বসে বঙ্গবন্ধুর নাম ধরে কথা বলেন। শেখ মুজিব বলার ধৃষ্টতা দেখায়। তাকে কোনদিন দেশে আসতে দেওয়া হবে না। আর যদি আসে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার জিভ কর্তন করবে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিএনপির কোনো সাংগঠনিক ভিত্তি নেই। জিয়া কি? একজন আর্মি অফিসার। সে তো নেতাই না। ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারও ছিলেন না তিনি। তাহলে তিনি কিভাবে প্রেসিডেন্ট হলেন? ক্ষমতায় এসে তিনি রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসদের সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠন করেছিলেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও সংগঠনের সভাপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির। এছাড়া আলোচনা সভায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন