বাজেটে লাভ হচ্ছে অর্থপাচারকারীদের: নজরুল ইসলাম খান

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বাজটে লাভ হচ্ছে যারা অর্থপাচার ক‌রে‌ছে, দুর্নী‌তি ক‌রে‌ছে তা‌দের‌ ব‌লে মন্তব্য ক‌রে‌ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

তি‌নি বলেন, প্রতিনিয়তই জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। আপনি যদি নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ হন, আপনি গত মাসের আয় দিয়ে যা কিনতে পারেছেন, এই মাসে কি তা কিনতে পারছেন? আগামী মাসে তো তাও কিনতে পারবেন না। বাজেট আবার নতুন করে বাড়াচ্ছে। কিন্তু লাভ হচ্ছে কার? যারা টাকা পাচার করছে, আমার আপনার টাকা লুট করছে তা‌দের।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১২ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বার্ষিকী উপলক্ষে তাঁতিদল আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, প্রবাসীদের কষ্টের টাকা পাচার করে কানাডায় বাড়ি বানাচ্ছে, মালোশিয়া বাড়ি বানাচ্ছে, সুইচ ব্যাংকে টাকা জমাচ্ছে। তারা কিছু টাকা ট্যাক্স দিয়ে ওই টাকা দেশে ফেরত নিয়ে আসতে পারবে। সবাই বলছে এইটা একটা অন্যায় সিদ্বান্ত, এটা প্রচলিত আইনের বিরুদ্ধে, আমাদের সংবিধানের বিরুদ্ধে ন্যায় নীতির বিরুদ্ধে। কারণ আমাদের দেশে আইন বলে, কেউ যদি টাকা পাচার করে তাহলে তার সব টাকা বাজেয়াপ্ত করে, ডাবল ফাইন করতে হবে এবং ১৪ বছরের জেল হবে। এখন আপনি বলছেন কিচ্ছু হবে না, ১০ শতাংশ জমা দিবেন বাংলাদেশের একাউন্টে, আর ওই টাকা হালাল। কেউ জিজ্ঞাসও করবে না। তাহলে এই সরকার কার? যাদের টাকা চুরি করছে তাদের, না যারা টাকা চুরি করছে তাদের?

তিনি আরও বলেন, এই সরকার উন্নয়ন করেছে, রিপোর্ট আসছে ১৩ হাজার লোক কোটিপটি হয়েছে। আর কোটি কোটি লোক দরিদ্রসীমার নিচে চলে গেছে। এখন যদি উন্নয়ন হয়েছে বলেন, তাহলে কার উন্নয়নের কথা বলতেছেন, ওই ১৩ হাজার লোকের। তাহলে আপনি তাদের সরকার। আপনি যদি আমাদের সরকার হন যাদের আয় কমে গেছে জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কারণে তাদের তো বলবেন না উন্নয়ন হয়েছে। আমাদের লোকদের কষ্ট বাড়ছে।কিন্তু আপনার আমাদের দিকে নজর নাই , আপনার নজর কোটিপতির দিকে।

বেগম জিয়া স‌ম্পর্কে তিনি ব‌লেন, তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। দুইবার বিরোধীদলের নেত্রী হয়েছেন। তিনি এখন কোথায়? জেলখানায়। ৭৬ বছর বয়স। দারুন অসুস্থ । গতকালও তার হার্টে অপরোশন করা হয়েছে। ডাক্তাররা বলেছে এডভান্স মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার জন্য। যেখানে উন্নত চিকিৎসা হয়।আমরা (ডাক্তারা) যেটা করছি সেটা হচ্ছে মেন্টেনেস। যখন যে প্রবলেম হচ্ছে সেইটা দেখছি। কিন্তু তার চিকিসার জন্য তাকে এখন উন্নত মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যেতে হবে। সেই মানুষটাকে কারাগারে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে । এখন আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই অনির্বাচিত সরকার যত দিন থাকবে, ততদিন কেউ ন্যায় বিচার পাবে না।