‘আমাদের সবচেয়ে বড় সংকট দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে গেছে’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনটি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তারেক রহমান অবশ্যই সফল হবেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় সংকট আমাদের দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে গেছে, আমাদের সমস্ত অধিকারগুলোকে কেড়ে নিয়ে গেছে, আমাদের সব কিছু উলট-পালট হয়ে যাচ্ছে, ম্লান হয়ে যাচ্ছে তখন আবার আমাদের সামনে এসে আবির্ভুত হয়েছেন জিয়াউর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরী তারেক রহমান। যিনি আমাদেরকে সুদূর থেকে পথের দিশা দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গতকাল না পরশু প্রশ্ন তুলেছেন যে, উনি সেই টেইমসনদীর পার থেকে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠা করবেন-এটা কী সম্ভব হবে?

বিজ্ঞাপন

‘ওবায়দুল কাদের সাহেব-অবশ্যই সম্ভব হবে, অবশ্যই সম্ভব হবে। কারণ তারেক রহমান সাহেব সেই রাজনীতি ধারণ করেছেন সেই রাজনীতি সারাদেশের মানুষের রাজনীতি। এখন মানুষ যা চায়, এখন মানুষ যে মুক্তি চায়, এখন মানুষ যে তার হারানো অধিকার ফিরে পেতে চায়, এখন মানুষ যে একটা স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে চায়, এই হত্যা-ধর্ষণ-খুন-জখমের মধ্য থেকে বেরিয়ে আনতে চায় তখন ওই দর্শন, জিয়াউর রহমানের দর্শন ধারণ যা তারেক রহমান সাহেব ধারন করে আছেন সেটা অবশ্যই এখানে সফল হবে।'

মির্জা ফখরুল বলেন, সফল না হলে এই যে আমাদের ছাত্রদলের ছেলেরা প্রায় ৩৫ জন হাসপাতালে পড়ে আছেন? কেনো আছে তারা? কী পাচ্ছেন তারা, কী পাচ্ছে? একটা আদর্শ, তারা যেটা বিশ্বাস করে- যে আমাদের এদেশকে মুক্ত করতে হবে, তারেক রহমান সাহেবের নির্দেশে এখান থেকে তারা ঝাঁপিয়ে পড়েছে।’-বলেন বিএনপি মহাসচিব।

রোববার (২৯ মে) বিকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী আলোচনা সভায় দলের মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।

দলের প্রতিষ্ঠাতার এই দিনটি বিএনপি শাহাদাত বার্ষিকী হিসেবে পালন করে। ৪১ তম এই শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি ১০ দিনের যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এই আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে তা শুরু হলো।

১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সেনাবাহিনীর একদল বিপদগামী সদস্যের অভ্যুত্থানে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হন।

জিয়াউর রহমান জীবনের সবচেয়ে বড় দুইটি দিক তুলে ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, একটা হচ্ছে যে, জিয়াউর রহমান জাতির সবচেয়ে দুঃসময়ে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জাতিকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। দ্বিতীয়টি হচ্ছে যে, তিনি ১৯৭৫ সালে যখন জাতি প্রায় দিশেহারা-কোন দিকে যাবে বুঝতে পারছে না তখন আবার তিনি ওই সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে জনগণের সামনে এসে দাঁড়িয়ে ফেইস করে, চ্যালেঞ্জ করে মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিলেন এবং তিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এই দুটার মধ্য দিয়ে তিনি পরিচিতি যে, আমরা বাংলাদেশি, আমাদের এই ভুখণ্ডে আমাদের একটা স্বতন্ত্র পরিচিতি আছে-সেটাই তিনি দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, আজকে জিয়াউর রহমান সাহেবকে যে যত ইচ্ছা বলুক, তাকে খলনায়ক বলুক, পাকিস্তানি চর বলুক আর তাকে সামরিক জান্তা থেকে উঠে আসার কথা বলুক তাতে কিচ্ছু যায় আসে না। কারণ এই দেশের মানুষের হৃদয়ের মধ্যে তিনি প্রতিথ হয়ে গেছেন।জিয়াউর রহমানকে ইতিহাস ধারণ করেছে, তাকে কখনো মুছে ফেলা যাবে না।