‘স্বাধীনতার ৫১ বছরেও শোষণ থেকে মুক্তি মেলেনি’

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পাটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের মানুষ যে মুক্তির জন্য স্বাধীনতার ডাকে সাড়া দিয়েছিল, সে মুক্তি আজও মেলেনি। দেশের মানুষ চেয়েছিল বৈষম্য, বঞ্চনা থেকে মুক্তি, তারা চেয়েছিল শোষণমুক্ত একটি দেশ।

শনিবার (২৬ মার্চ) আইডিইবিতে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, বৈষম্য, শোষণ আর বঞ্চনার প্রতিবাদ ও প্রতিরোধেই প্রথমে স্বাধীকার তারপর স্বাধীনতা সংগ্রাম সংগঠিত হয়েছিল। স্বাধীনতার ৫১ বছর পার হলেও দেশের মানুষ বৈষম্য, শোষণ ও বঞ্চনার হাত থেকে মুক্তি পায়নি। স্বাধীনতার আগে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানিরা আমাদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছিল। বিভিন্নভাবে আমাদের বঞ্চনা করা হতো। আমরা ছিলাম শোষণ, নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার।

এখন বিশেষ করে ৯১ এর পর থেকে সরকার, সরকারি দলের মানুষ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না হলে সরকারি চাকরি মিলে না। সরকার দলের জার্সি না পরলে ব্যবসা করা কঠিন। নানাভাবে দুর্নীতি, বঞ্চনা, শোষণ-নিপীড়নে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ট। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দলের মানুষেরা আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। ফুটপাতের দোকানিরাসহ সকল স্তরের ব্যবসায়ী ও মানুষ ক্ষমতাসীনদের চাঁদা না দিয়ে কিছু করতে পারছে না।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পূর্বে পশ্চিম পাকিস্তান আমাদের দেশের সম্পদ লুট করে সে দেশে নিয়ে যেত। এখন বাংলাদেশের সম্পদ লুন্ঠন করে বিভিন্ন দেশে টাকা পাচার করা হচ্ছে এবং প্রতিদিন তা বাড়ছে বলে বিদেশি সংস্থার জরিপে জানা যাচ্ছে। স্বাধীনতার স্বপ্ন ছিল দেশের মালিক জনগণ তারাই রাষ্ট্র পরিচালনার সকল ক্ষমতার মালিকানায় থাকবে। অর্থাৎ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। ১৯৯১ সালের পর থেকে যে দুটি দল ক্ষমতায় ছিল তারা সংবিধান কাট-ছাট করে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে একটি একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছে। একনায়কতন্ত্র স্বাধীনতার চেতনার পরিপন্থী। বর্তমানে দেশে এখন এক ব্যক্তির হাতে রাষ্ট্রের ক্ষমতা।

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী আমরা উদযাপন করেছি। কিন্ত দেশের মানুষ স্বাধীনতার সাধ পাচ্ছে না। আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি কিন্ত মুক্তি পাইনি। দেশের মানুষ চেয়েছিল, এখনও চায়। জাতীয় পার্টি স্বাধীনতার মূল চেতনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের মানুষকে স্বাধীনতার প্রকৃত সাধ দিতেই রাজনীতি করছে বলে মন্তব্য করেন জিএম কাদের।