জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেছেন, ‘নির্বাচন হবে কি না জানি না। আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তবে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। নিশ্চয়তা চাই। পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, জাতীয় পার্টি জোটগতভাবে ৩০০ আসনে নির্বাচন করবে।’
শনিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের (ইউএনএ) মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী নির্বাচনের রূপরেখা তুলে ধরে এরশাদ বলেন, ‘দেশের স্বার্থে মেরুকরণ হতে পারে। তবে নির্বাচনের জন্য অনুকূল পরিবেশ চায়। পরিবর্তন চায় দেশের মানুষ।’
সরকারের কাছে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের দাবি জানান তিনি।
ক্ষমতায় গেলে নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনা ও সন্ত্রাস-দুর্নীতি বন্ধ করাসহ ১৮ দফা তুলে ধরেন জাপা চেয়ারম্যান।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে সাবেক রাষ্ট্রপতি বলেন, একটি দল সাত দফা দিয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে আগামী দিনগুলোকে স্বচ্ছ মনে হচ্ছে না। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা চাই। আমরা জাতীয় পার্টি সবসময় নির্বাচন করেছি। আজও আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তবে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। অবাধ নির্বাচন চাই।
অতীত ইতিহাস তুলে ধরে এরশাদ জানান, তিনি ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার পর অনেক নির্যাতন সহ্য করেছেন। শান্তিতে ঘুমাতেও পারেননি।
সমাবেশে জাপার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বলেন, জনগণের কথা চিন্তা করতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় যেতে চায়। এজন্য দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
এর আগে সকাল পৌনে ১১ টায় সমাবেশ শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সমাবেশস্থলে পৌঁছান , দলটির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ ও কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জিয়া উদ্দিন বাবলু, মুজিবুল হক চুন্নু, খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমীর জোবায়ের আহমদ আনসারী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
জাপা জোটের এই মহাসমাবেশে যোগ দিতে সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হন। জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান এমন বহু জাপা নেতা তাদের নিজ নিজ এলাকার কর্মীদের নিয়ে মিছিল সহ সমাবেশে যোগ দেন।