দেশে এসে গ্রেফতার আতঙ্কে প্রবাসী বিএনপি নেতারা

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

সিলেট: দেশে এসে গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছেন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন প্রবাসীরা। তাদের মধ্যে গ্রেফতার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গত ২০ দিনে সিলেটে ৩ প্রবাসী গ্রেফতার হয়েছেন। সর্বশেষ সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট থেকে গ্রেফতার হয়েছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মামুন। নগরীর খাসদবির ইলাশকান্দি এলাকার উদয়ন ৪২নং বাসা থেকে সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ঈদ করতে দেশে এসেছিলেন মামুন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাকে ঘিরে চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিতি হন লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে। তখন কিছু নেতাকর্মী ক্ষুব্ধ হয়ে হাইকমিশনে ভাঙচুর চালান। পরে এ ঘটনায় মামলা করেন দূতাবাস কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় শহীদুল ইসলাম মামুন জড়িত ছিলেন অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সিলেট ওসমানীনগর থেকে যুক্তরাজ্যস্থ লন্ডন যুবদলের সভাপতি আব্দুল খায়ের নামের এক প্রবাসীকে গ্রেফতার করা হয় গত ২১ আগস্ট রাতে। তার বিরুদ্ধেও যুক্তরাজ্য সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা ও বাংলাদেশ দূতাবাস ঘেরাওয়ের অভিযোগ রয়েছে। খায়ের উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নের রাউৎখাই গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলেও যুক্তরাজ্যস্থ লন্ডন যুবদলের সভাপতি। আব্দুল খায়েরের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এরআগে সিলেটের বিয়ানীবাজারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালের অভিযোগে শেখ হেলাল আহমদ বাদশা ওরফে খালেদ আহমদ বাদশা (৫১) নামের এক ব্রাজিল প্রবাসীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। গত ১৪ আগস্ট বিয়ানীবাজার উপজেলার খশিরবন্দ (হাতিটিলা) গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আবদুল ওয়াহাব জানান, যাদের আটক করা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। যুক্তরাজ্য বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মামুনের বিরুদ্ধেও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।

সিলেট মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি সালেহ আহমদ খসরু বলেন,‘প্রবাসীদের দেশ বিমুখ করার হীন উদ্দেশে তাদের ধরপাকড় করছে। এটি ফ্যাসিবাদী আচরণের বহিঃপ্রকাশ।’