বাউল গানের বিশ্ব ঐতিহ্য যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছবি: বার্তা২৪.কম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছবি: বার্তা২৪.কম

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: বাউল গানের সঙ্গে সম্পৃক্তরা এমন কোনো কাজ করবেন না যা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। আজকে বাউল গান বিশ্ব ঐতিহ্যে স্থান পেয়েছে। যদি কেউ অপরাধ করে থাকে সেটা আমরা দেখব। তবে অহেতুক চুল কাটা বা বাউল গানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা এটা গ্রহণযোগ্য না বলে জানিয়েছেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে একাদশ সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা একথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

সংসদ নেতা বলেন, বাউল গানকে বিশ্ব ঐতিহ্যে স্থান করতে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি, সেটা আমরা অর্জন করেছি। বাউল গানের তো কোনো দোষ নেই। কিন্তু বাউল গান যারা করে বা ব্যক্তি বিশেষ সে যদি কোনো অপরাধে সম্পৃক্ত হয়, তাহলে আইন তার আপন গতিতে চলবে। আইনে যে ব্যবস্থা নেওয়ার সেটা নেবে। এটার সাথে গানের সম্পৃক্ততা না।

প্রশ্নকারীকে উদ্দেশ্যে করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপন কি এই নিশ্চয়তা দিতে পারবেন? যারা বাউল গান গাচ্ছেন, আর বাউল গান গাচ্ছে বলেই যে তারা কেউ অপরাধ ছাড়া, অপরাধের ঊর্ধ্বে , কোনো অপরাধ করেন না, বা করেননি। এটা তো ঠিক না। কে কি করছেন, ব্যক্তি বিশেষ, সেটার হিসাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিশ্চয়ই কোনো অপরাধের সাথে সংযুক্ত বলে বা অপরাধ সংগঠিত হয়েছে বলে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাজেই বিষয়টার সাথে ঐতিহ্যের কোনো সম্পর্ক নেই। বরং বলব এরা এমন কোনো কাজ যেন না করে, আজকে যে বাউল গান বিশ্ব ঐতিহ্যে স্থান পেয়েছে, সেটা যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। সেই ধরণের কাজ যেন তারা না করেন। সেব্যাপারে আমাদের সচেতন করা দরকার এবং সচেতন হওয়া দরকার।

তিনি বলেন, সংবিধান লঙ্ঘন করে যখনই সামরিক সরকাররা ক্ষমতায় আসে তখন ঘোষণা দেয় আজ থেকে আমি রাষ্ট্রপতি হলাম। হলাম বলেই কাজ শুরু হয়ে যায়। পরিষ্কার করা শুরু হয়ে যায়। কেটে কুটে ছাপ করে, কেউ সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে পরে দেখা যাচ্ছে সবচেয়ে দামি গাড়ি নিয়ে চলছে। কেউ টি শার্ট পড়ে নেমে গেল পরে দেখা যায় পেরিস থেকে স্যুটকোর্ট নিয়ে আসছে। এগুলো তো দেখেছি। এগুলো বেশি দিন থাকে না, ৬ মাস।

সংসদ নেতা বলেন, এখনও কেউ যদি কিছু করে থাকে, অপরাধ যদি করে আমরা দেখব যথাযথ ব্যবস্থা নেব। অহেতুক কারো চুলকাটা বা গানে প্রতিবন্ধকতা করা এটা মোটেই গ্রহণযোগ্য না।

তিনি বলেন, কুষ্টিয়ায় বাউলের ওই জায়গায় উন্নয়ন আওয়ামী লীগ সরকারই করে দিয়েছে। সেখানেও বাঁধা পেয়েছি। প্রথমবার করতে গেলাম, তখন অনেকেই বাঁধা দিয়েছে। ঝুপড়ি, টুপড়ি করে তারা ওভাবেই থাকবে। পরে সুন্দর করে ঘর করে দেওয়া হয়েছে বাউল গানের ঐতিহ্য রক্ষা করার জন্য। সে কারণে তো বাউল গান বিশ্ব ঐতিহ্যে স্থান পেয়েছে।