বাতিঘর আইনসহ সংসদে দু'টি বিল উত্থাপন

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সংসদ ভবন থেকে: বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল আইন ২০২০ ও বাংলাদেশ বাতিঘর আইন ২০২০ সংসদে উত্থাপিত হয়েছে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল আইন বিলটি উত্থাপন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

বিজ্ঞাপন

বিলটি উত্থাপনের বিরোধীতা করে জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, কাউন্সিল করতে হলে এর সাথে গ্র্যাজুয়েট কাউন্সিলর থাকতে হয়। কিন্তু এই বিলে তার কোনো উল্লেখ নেই। জবাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, এর সাথে শিক্ষার কোনো সম্পর্ক নেই। শিক্ষিত লোকেরাই এই কাউন্সিলে থাকবেন। অভিজ্ঞ প্রকৌশলী, প্রকৌশল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের এবং প্রকৌশল পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কাউন্সিল পরিচালিত হবে। পরে কণ্ঠভোটে বিলটি উপস্থাপিত হয়।

বাংলাদেশ বাতিঘর আইন, বিলটি উত্থাপন করেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে নিরাপদ নৌ চলাচল এবং দেশের বন্দরে চলাচলকারী নৌযান থেকে মাশুল ও জরিমানা আদায়ের বিধান রেখে বাংলাদেশ বাতিঘর আইন ২০২০ উত্থাপিত হয়েছে সংসদে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৯২৭ সালের ‘দ্যা লাইট হাউজ অ্যাক্ট, ১৯২৭ রহিত করে আইনটি সময়োপযোগী করে পুনঃ প্রণয়ন করা হয়। ২০১৫ সালের ২ নভেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিলটি বাংলা ভাষায় রূপান্তর, সংশোধন ও পরিমার্জন করে প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়। সে আলোকে বিলটি প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চলে বর্তমানে ৩টি বাতিঘর বিদ্যমান রয়েছে। এছাড়া আরও ৪টি বাতিঘর স্থাপনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বন্দরে আগত এবং প্রত্যাগত ও এক বন্দর থেকে অন্য বন্দরে যাতায়াতের জন্য জাহাজের সময়, বাতিঘর মাশুল নির্ধারণ ও আদায় করবে। নৌ বাণিজ্য অধিদফতর বা তার পক্ষে কাস্টমস কমিশনার সরাসরি বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বাতিঘর মাশুল আদায় করবে।জাহাজের নাম টনেজ হিসেবে মাশুল নির্ধারিত হবে। তবে দশ টনের নিচে কোনো জাহাজ বা অবাণিজ্যিক জাহাজ এবং নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত জাহাজের কোনো মাশুল লাগবে না। এই আইনের অধীনে সরকার একটি বাতিঘর বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করবে। এছাড়া নৌপরিবহন অধিদফতর একজন প্রধান পরিদর্শক ও প্রত্যেক বাতিঘর অঞ্চলের জন্য তত্ত্বাবধায়ক ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক পরিদর্শক থাকবে। পরে অধিকতর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে বিল দু’টি প্রেরণ করা হয়।