‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে’

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ/ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ/ছবি: সংগৃহীত

সংসদ ভবন থেকে: দুর্নীতি, জুয়া, মাদক, জঙ্গিবাদ-উগ্রবাদ এবং সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে এবং জনজীবনে স্বস্তি বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় একাদশ জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনে রেওয়াজ অনুযায়ী দিক-নির্দেশনামূলক ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি।

বিজ্ঞাপন

সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন রাষ্ট্রপতি। এ সময় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য সংসদ সদস্যরা দাঁড়িয়ে তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন।

এরপর জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। জাতীয় সঙ্গীত শেষে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর পাশে থাকা আসনে বসেন রাষ্ট্রপতি। এরপর স্পিকারের আহ্বানে বক্তৃতা দেন। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দেন তিনি। ৭টা ৩১ মিনিটে বক্তব্য শেষ হয়।

রাষ্ট্রপতি প্রস্থানের সময় আবারও বিউগলে সুর বেঁজে ওঠে। রাষ্ট্রপতির ভাষণের সময় প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, রাজনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, মন্ত্রিপরিষদ সচিক খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, তিন বাহিনীর প্রধান, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণ উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি তার বক্তৃতায় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আলোর দিশারী বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, দেশে আইনের শাসন সুসংহত ও সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে সরকারের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা এবং যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় কার্যকর করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের স্বদেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলা এবং বিডিআর হত্যাকাণ্ড মামলার বিচারকার্য সম্পন্ন হয়েছে এবং আদালত কর্তৃক দোষীদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া হলি আর্টিজান হামলা মামলা, নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রায় দ্রুত প্রদান করা হয়েছে।