অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার রোধে কঠোর নির্দেশনা চান প্রতিমন্ত্রী

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা, জাতীয় সংসদ ভবন থেকে
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদ অধিবেশন (ইনসেটে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন), ছবি: সংগৃহীত

সংসদ অধিবেশন (ইনসেটে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন), ছবি: সংগৃহীত

যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার রোধে কঠোর নির্দেশনা চান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, আশাকরি অ্যান্টিবায়োটিকের যত্রতত্র ব্যবহার রোধে কঠোর নির্দেশনা জারি করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে সংসদ অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিজ্ঞাপন

অ্যান্টিবায়োটিক এর যত্রতত্র ব্যবহার রোধে সরকার কি ব্যবস্থা নিচ্ছে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার এমন একটি সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে কনর্সানের কথা বলেছেন, ‍দুশ্চিন্তার কথা বলেছেন। আমরা ইতিমধ্যে শুনেছি যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের কারণে এর রেসিটেন্স (কার্যক্ষমতা) করেছে। সরকার বিষয়টি সুবিবেচনায় রেখেছে, কিভাবে অ্যান্টিবায়োটিক এর যত্রতত্র ব্যবহার রোধ করা যায়। এভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের কারণে ইতিমধ্যে কয়েকটি অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করার পর রেসিটেন্স তৈরি হয়েছে। পরে তারা কিন্তু আর চিকিৎসা নিতে পারছে না, মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে।

তিনি বলেন, পত্রপত্রিকায় এ বিষয়ে লেখা আসছে। বিষয়টি আলোচনায় আসছে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে সরকার। এসময় বিদ্যমান অবস্থার কথা ‍তুলে ধরে তিনি বলেন, কতগুলো ওষুধ লিগ্যাল প্রেসক্রিপশন ছাড়া দেওয়ার কথা না, যেমন ঘুমের ওষুধ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি আশাকরি এরকম একটা কঠোরতা জারি করা হবে, কঠোরতা দেখানো হবে, যাতে করে প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক কাউকে না দেয়। অনেক হাতুড়ে ডাক্তার আছে যাদের কাছ থেকে প্রেসক্রিপশন লিখে নিয়ে আসে। কথায় কথায় অ্যান্টিবায়োটিক খাচ্ছে, যার জন্য প্রযোজ্য নয় সেও খাচ্ছে। কিন্তু নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। আশাকরি অল্প কিছুদিনের মধ্যে নির্দেশনা দিতে পারব।