বিটিএমসি’র সব মিল অলাভজনক

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা, জাতীয় সংসদ ভবন থেকে
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদ অধিবেশন ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী

সংসদ অধিবেশন ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী

সরকারি সিদ্ধান্তে বিভিন্ন সময়ে ও বিভিন্ন পদ্ধতিতে হস্তান্তরিত শর্ত লঙ্ঘনকারী পুনঃঅধিগ্রহণকৃত ৭টি মিলসহ বর্তমানে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশনের (বিটিএমসি) নিয়ন্ত্রণাধীন সর্বমোট ২৫টি মিল রয়েছে। মিলগুলোর মধ্যে ৬টি মিল বর্তমানে ভাড়া পদ্ধতিতে চালু রয়েছে। অবশিষ্ট ১৯ মিল বন্ধ। বিটিএমসির সবগুলো মিল অলাভজনক বলে সংসদে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।

তিনি বলেন, ২৫টি মিলের ১৬টি মিল পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় পরিচালনার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইতোমধ্যে ২টি মিল পিপিপি কর্তৃপক্ষের অধীনে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে হস্তান্তর প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। বাকি ১৪টি মিল পিপিপি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরিচালনার জন্য কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৬ জুন) সংসদ ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিটিএমসির সকল মিল বন্ধ থাকায় সংস্থাটির প্রধান আয়ের উৎস হলো- ভবন/স্থাপনা ভাড়া এবং ব্যাংকে রক্ষিত স্থায়ী আমানতের সুদ। এসব উৎস থেকে প্রাপ্ত আয় অত্যাবশ্যকীয় ব্যয়ের তুলনায় অনেক কম। ফলে এখানে কর্মরতদের বেতনভাতা প্রদানসহ ব্যয় মিটানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বকেয়ার পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ৩ হাজার ২৩২ লাখ টাকা চেয়ে পত্র দিলেও কোন অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায়নি; ফলে জটিলতা প্রকট হচ্ছে। বর্তমানে বেতন ভাতা ও মঞ্জুরি খাতে বকেয়ার পরিমাণ ২৭.৫৪ কোটি টাকা। বিটিএমসির গ্রাচুইটি তহবিলে ঘাটতি থাকায় অবসরগ্রাপ্তদের গ্রাইচুইটি পরিশোধ করা যাচ্ছে না।

এম. আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, তাঁত জরিপ-২০১৭ অনুযায়ী দেশে হস্তচালিত তাঁতের সংখ্যা ৩ লাখ ২০ হাজার ৭৮১টি এবং হস্তচালিত তাঁত বন্ধ রয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৭৩টি। বন্ধ থাকা হস্তচালিত তাঁতগুলো পুনরায় চালুর লক্ষ্যে সরকার ক্ষুদ্র কর্মসূচির আওতায় ৪৪ হাজার ২৪০ জন তাঁতীকে ৬৫ হাজার ৪৫১টি তাঁতের অনুকূলে মোট ৭ হাজার ৫০৬ লাখ টাকা ঋণ সহায়তা দিয়েছে। ১৫ হাজার ৮শ’ লাখ টাকা বিনিয়োগে তাঁতিদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।