ভাড়া জাহাজের পেছনেই বছরে সরকারের ব্যয় ২৪০০ কোটি টাকা

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশকে আমদানি-রফতানি পণ্য পরিবহনে বিদেশি জাহাজের ওপরে নির্ভর করতে হয়। ভাড়া জাহাজের পেছনেই এক বছরে সরকারের ব্যয় হয় ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। তাই বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজের সংখ্যা বাড়াতে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার (২৯ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, বাংলাদেশ বহরে বর্তমানে ৪৭টি জাহাজ রয়েছে। বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের জাহাজ বহরে ২০৪১ সালের মধ্যে মোট ৩২টি জাহাজ সংযোজন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দু’টি প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার, দু’টি মাদার ট্যাংকার, ১৮টি বাল্ক ক্যারিয়ার, ছয়টি এলএনজি ক্যারিয়ার এবং চারটি সেলুলার কনটেইনার।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজের সংখ্যা বাড়াতে উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে ৫ হাজার ডিডব্লিউটির ঊধ্বে ধারণক্ষমতা সম্পন্ন জাহাজ বাংলাদেশি পতাকায় রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে এনবিআর আরোপিত ভ্যাটের ১৫ শতাংশ মওকুফ করেছে। এছাড়া দেশের আমদানি ও রফতানি বাণিজ্যে সরকারি খাতে পরিবহন সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিএসসি কর্তৃক স্বল্প মেয়াদে ২০২১ সালের মধ্যে দু’টি নতুন মাদার ট্যাংকার এবং দুটি নতুন ডিজেল পরিবহন উপযোগী প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার এবং দুটি কয়লা পরিবহন উপযোগী মাদার বাল্ক ক্যারিয়ার সংগ্রহের প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে।

সংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে নৌ-প্রতিমন্ত্রী জানান, ঢাকার চারপাশের নদীর তীরভূমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা অপসারণ ও উদ্ধার, নদীর কিনারায় ওয়াল নির্মাণ, ওয়াকওয়ে নির্মাণ ও নদীর নাব্যতা বৃদ্ধিকরণ, নদীর তীরভূমি সংরক্ষণ ও পরিবেশ উন্নয়ন এবং নৌ-পথ ও নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি জানান, নদীদূষণ রোধ কল্পে নদী হতে প্রায় ৮ লাখ ঘনফুট বর্জ্য/ময়লা অপসারণ করা হয়েছে। নৌযান হতে নদীতে বর্জ্য না ফেলার জন্য নৌযানের শ্রমিক, মালিক ও যাত্রীদের নিয়মিত সতর্ককরণসহ তদারকি করা হচ্ছে। নিয়মিত মাইকিং করে নদীতে বর্জ্য না ফেলার অনুরোধ করা হচ্ছে। শিল্প কারখানা ও গৃহস্থালী বর্জ্য মুখ বন্ধ করা হয়েছে।