পুলিশ দেখে ভয়, অবশেষে পুলিশেই স্বস্তি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বগুড়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আল আমিন ও তার সন্তান সম্ভবা স্ত্রীকে সাহায্য করছেন পুলিশ, ছবি: বার্তা২৪.কম

আল আমিন ও তার সন্তান সম্ভবা স্ত্রীকে সাহায্য করছেন পুলিশ, ছবি: বার্তা২৪.কম

করোনা প্রার্দুভাবে মানুষের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়া, করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তির মরদেহ দাফনের মত কাজ গুলো করে আসছেন পুলিশের সদস্যরা।এবার জন মানবহীন রাতের রাস্তায় যখন কোন যানবাহন চলছে না তখন সন্তান সম্ভবনা এক নারীকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হলো পুলিশের গাড়িতে।

শনিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে বগুড়া শহরে সুলতানগঞ্জ পাড়ার এক সন্তান সম্ভাবনা নারীকে বগুড়া সদর থানা পুলিশের গাড়িতেছেন হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের সুলতাগঞ্জ পাড়ার ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রী আল আমিন তার বাড়ির কাছে হাকির মোড় এলাকায় রিক্সা-ভ্যানের খোঁজ করছিলেন। এমন সময় পুলিশের একটি টহল গাড়ি সেখানে থামে। রাতের ডিউটিতে থাকা বগুড়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা গাড়ি থেকে নেমে এত রাতে রাস্তায় ঘোরা ফেরার কারন জানতে চান।

এ সময় আল আমিন জানায় তার স্ত্রীর প্রসব বেদনা উঠেছে। হাসপাতালে নিতে হবে, কিন্তু রাস্তায় কোন যানবাহন এমনকি ভ্যান-রিক্সাও পাচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিতে এস আই সোহেল রানা বিষয়টি জানান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামানকে। তিনি নির্দেশনা দেন সন্তান সম্ভবনা ওই নারী তার স্বামীসহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছে দিতে।

এরপর সন্তান সম্ভাবনা ওই নারী, তার স্বামী ও তাদের আরো দুই আত্মীয়কে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নেয়া হয় পুলিশের গাড়িতে। সুলতানগঞ্জ পাড়া থেকে ৮ কিলো মিটার দুরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর পর ভর্তি করানো পর্যন্ত নিশ্চিত করেন এস আই সোহেল রানা।

বগুড়া সদর থানার এস আই সোহেল রানা বার্তা ২৪.কমকে বলেন, হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার পর আমাকে ধরে আলামিন হাউমাউ করে কেঁদে ফেলে বলে, স্যার! আমি তো পুলিশ দেখে ভয়ই পেয়ে গিয়েছিলাম। অবশেষে পুলিশেই স্বস্তি পেলাম। তিনি বলেন আলামিন আমাকে জড়িয়ে ধরে যে পরিমান দোয়া করেছে আমি করোনার ভয়, রোগের ভয় সবকিছু ভুলে গেছি।