স্বল্পমূল্যে চাল আটা বিক্রি শুরু, স্বস্তিতে হতদরিদ্ররা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

স্বল্পমূল্যে চাল আটা বিক্রি শুরু, স্বস্তিতে হতদরিদ্ররা

স্বল্পমূল্যে চাল আটা বিক্রি শুরু, স্বস্তিতে হতদরিদ্ররা

সারাদেশের ন্যায় রংপুরেও হতদরিদ্রদের মাঝে স্বল্পমূল্যে ওএসএস খাতের চাল ও আটা বিক্রি শুরু হয়েছে। সকাল থেকে রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকার পনেরোটি স্থানে ওএমএসের ডিলাররা ১০ টাকা কেজিতে চাল ও ১৮ টাকা কেজি দরে আটা দেয়া শুরু করেছে।

স্বল্পমূল্যে চাল ও আটা কিনতে সকাল থেকে প্রত্যেকটি ডিলার পয়েন্টে নারী-পুরুষের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষরা এই সরকারের এই কার্যক্রমে খুশি হলেও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে চাল নিতে সবার চোখে মুখে ছিলো অস্বস্তির ছাপ।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৫ এপ্রিল) দুপুরে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বরসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে চাল ও আটা বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন করেন সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। 

এসময় মেয়র বলেন, রংপুর নগরীতে প্রায় ১০ লাখ মানুষের বসবাস। এর মধ্যে ৫০ হাজার মানুষ শ্রমজীবী। এসব মানুষকে সাধ্যমত সহায়তা প্রদান করাসহ সরকারি সুবিধা দেয়ার জন্য সবসময় চেষ্টা করছি। কিন্তু বাজেট কম থাকা অনেক কিছু করতে চাইলেও সম্ভব হয় না।

রংপুরে ওএমএসের চাল ও আটা কিনতে হতদরিদ্রদের দীর্ঘ লাইন

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওএমএস কার্যক্রম বন্ধ ছিল। সরকারের কাছে অবহেলিত বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে জন্য আবেদন করেছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছেন। রংপুরসহ সারাদেশে ওএমএস কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে। এখন আর কাউকে অনাহারে অর্ধাহারে থাকতে হবে না। প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেয়া ওএমএস খাতের সুবিধা হতদরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য।

সকাল দশটা থেকে নগরীর ১৫ টি পয়েন্টে র‌্যাব ও পুলিশের সহযোগিতার চাল ও আটা বিক্রি করা হচ্ছে। ১০ টাকা কেজিতে চাল ও ১৮ টাকা কেজি আটা পেয়ে খুশি হতদরিদ্র পরিবারগুলো। তবে সবখানেই চাল আটা কেনার জন্য দীর্ঘ লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে অসংখ্য নারী-পুরুষকে। তাদের মধ্যে শৃঙ্খলা আনয়ন ও নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য কাজ করছে র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা।

রংপুর নগরীর ১৫ টি পয়েন্টে র‌্যাব ও পুলিশের সহযোগিতার চাল ও আটা বিক্রি করা হচ্ছে

প্রতি সপ্তাহের রোববার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার করে ডিলারদের মাধ্যমে চাল ও আটা দেয়া হবে। একেকজন ভোক্তা ৫ কেজি করে চাল ও আটা ক্রয় করতে পারবেন। প্রতিদিন পনেরোটি পয়েন্টে ৩০ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করা হবে।

এদিকে নগরীর শাপলা চত্বর, রেলওয়ে স্টেশন, মাহিগঞ্জ সাতমাথা, সিটিবাজার, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, তাজহাট এরশাদনগর, শালবন মিস্ত্রিপাড়া, বাহারকাছনা মোড়, মর্ডান মোড়, দর্শনা মোড়, মীরগঞ্জ বাজার মুদিখানা মোড়, সামরারহাট চিলারঝাড়, সোডাপীর মোড়, সিও বাজার ও নজিরেরহাটে চাল বিক্রি করা হবে।

একেকজন ডিলার প্রতিদিন বিক্রির জন্য দুই মেট্রিক টন চাল ও এক মেট্রিক টন করে আটা বরাদ্দ পাবেন বলে জানান রংপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তরের উচ্চমান সহকারী মো. হুমায়ুন কবির। তিনি জানান,  ডিলারদের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে সপ্তাহে তিন দিন সকাল দশটা থেকে চাল ও আটা দেয়া হবে। যখন পর্যন্ত বরাদ্দকৃত চাল আটার মজুদ শেষ না হবে ততক্ষণ ভোক্তারা ক্রয় সুবিধা নিতে পারবেন।