নিজে বের হয়ে সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান সাঈদ খোকনের

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন সাঈদ খোকনেরছবি: বার্তা২৪.কম

দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন সাঈদ খোকনেরছবি: বার্তা২৪.কম

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে সুরক্ষায় নগরবাসীকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

যদিও তিনি নিজেই জনসমাগম করে দরিদ্রদের মাঝে খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করছেন। ফলে প্রশংসার পাশাপাশি নগরবাসীর সমালোচনার মুখেও পড়েছেন তিনি। অনেকে বলছেন, নিজে ঘর থেকে বের হয়ে অন্যকে আহ্বান করা কতটা যৌক্তিক?

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার (২৯ মার্চ) সরকারি বাসভবনে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময়কালে ঘরে থাকার কথা মনে করিয়ে দেন। তিনি বলেন, সকলকে বলব, ঘর থেকে বের হবেন না, আর নিজে ঘুরে বেড়াব, এটা তো হয় না। নিজেই যদি না মানি, তাহলে মানতে বলব কীভাবে?

বিকেলে নগর ভবনের সামনে মাসব্যাপী ছিন্নমূল খেটে-খাওয়া মানুষের মাঝে খাদ্যসাগ্রী বিতরণ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে নগরবাসীকে ঘরে থাকার আহ্বান জানান সাঈদ খোকন। এসময় সেখানে শতাধিক লোক সমাগম হয় এবং তাদের মধ্যে নিরাপদ দূরত্ব বজায় ছিল না।

মেয়র খোকন এ সময় বলেন, আমি নির্বাচিত মেয়র হিসেবে সবাইকে আহ্বান করব, সবাই যেন ঘরে থাকেন। আপনারা বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হবেন না। সরকার আপনাদের পাশে আছে। সিটি কর্পোরেশন আপনাদের পাশে আছে। আমিও আপনাদের পাশে আছি। যে কোনো সমস্যায় আমাকে আপনারা পাবেন। দয়া করে ঘরে থাকুন।

আমরা ৫০ হাজার পরিবারের মধ্যে এক মাসের নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছি। তারই অংশ হিসেবে আমাদের কার্যাক্রম চলমান রয়েছে। আমাদের ওয়ার্ড পর্যায় থেকে তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। আজ রিকশাচালকসহ অন্যান্যদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। যেন তারা কর্মহীন অবস্থায় পড়ে খাদ্য সংকটে না পড়ে, যোগ করেন মেয়র।

বিজ্ঞাপন
 দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন সাঈদ খোকনেরছবি: বার্তা২৪.কম



তিনি বলেন, আমরা আনন্দিত হয়েছি যে প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে অনেক বিত্তবান ও সচ্ছল ব্যক্তি এসব অসহায় খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। এটা শুভ লক্ষণ। আপনারা কোনো চিন্তা করবেন না। সরকার আপনাদের পাশে রয়েছে। আমরা যেসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছি, তাতে করে চার থেকে পাঁচজনের একেকটি পরিবারের প্রায় এক মাস চলে যাবে।

এ সময় মেয়র তার সংস্থার প্রধান প্রধান সড়কের পাশাপাশি প্রতিটি অলিতে-গলিতেও জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে বলে জানান।

মেয়রের সঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ মো. ইমদাদুল হক, সচিব মোস্তফা কামাল মজুমদার, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।