বসে নেই মাঠ দাপানো ফুটবল কন্যারা

  • ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বসে নেই মাঠ দাপানো ফুটবল কন্যারা

বসে নেই মাঠ দাপানো ফুটবল কন্যারা

স্বপ্না, রত্না, সুলতানা- এই নামগুলো বাংলাদেশের ফুটবল অনুরাগীদের খুব পরিচিত। এরা জাতীয় প্রমীলা ফুটবল দলের তারকা। লাল-সবুজ জার্সি পড়ে এরা মাঠে নামেন। প্রতিপক্ষের সাথে পাল্লা দেন। মাঠ দাপিয়ে গোলও করেন। কিন্তু বর্তমানে বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাব ওদের মাঠ থেকে দূরে রেখেছে। ওরা ফিরেছে গ্রামের বাড়িতে।

মাঠে ছেড়ে ঘরে ফেরা মেয়ে ফুটবল তারকা এখনও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে ফুটবল নিয়ে মাঠে অনুশীলনে নয়। ওরা ব্যস্ত করোনা মোকাবিলায় সচেতনতা সৃষ্টিতে। বাংলাদেশ জাতীয় প্রমীলা ফুটবল দলের স্বপ্না, রত্না, সুলতানার সাথে যোগ হয়েছে বিভিন্ন বয়স ভিত্তিক দলের ক্ষুদে তারকারাও।

বিজ্ঞাপন
জাতীয় প্রমীলা ফুটবল দলের তারকা

রোববার (২৯ মার্চ) দুপুরে রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্কুরিনী নয়াপুকুর গ্রামে সচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশ নেন ফুটবল কন্যারা। এই গ্রামকে বলা হয় রংপুরের ফুটবল কন্যাদের গ্রাম।

করোনার সংক্রমণ রোধে প্রশিক্ষক মিলন খানের নেতৃত্বে স্বপ্না, রত্না, সুলতানার সাথে সচেতনতার মাঠে নেমেছেন রুনা, রুমি, বৃষ্টি, রিতা, সুমাইয়া ও শাপলারা। আর এদেরকে সহযোগিতা করছে সদ্যপুস্কুরিনী যুব স্পোর্টিং ক্লাব ও সদ্যপুস্কুরিনী উন্নয়ন সংস্থা।

প্রতিপক্ষের জালে গোল করতে মরিয়া এই মেয়েদের চোখে মুখে এখন সচেতনতার বার্তা। তাই ওরা বসে নেই। গ্রামে ফিরে বাড়ি বাড়ি শোনোচ্ছেন করোনা রোধে করণীয় কি। গ্রামের অসচেতন, সহজ-সরল মানুষগুলোকে সামাজিক দূরত্ব কিংবা সঙ্গরোধে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন।

জাতীয় প্রমীলা ফুটবল দলের তারকা

নয়াপুকুর কলেজ বাজার ও পালিচড়া বাজারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে বার বার হাত ধোয়া এবং জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটানোর কাজ করছে ওরা। সঙ্গে নিজেদের তৈরি ফেস মাস্কও বিতরণ করেছে। কখনো গ্রামের রাস্তায়, নয়তো বাড়ি বাড়ি গিয়ে সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের উদ্বুদ্ধ করছেন সরকারি নির্দেশনা মেনে সঙ্গরোধে থাকার।

এসব ফুটবল কন্যাদের বিশ্বাস সবার মধ্যে সচেতনতা আর সামাজিক দায়বদ্ধতা জাগ্রত হলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ সম্ভব হবে।

এব্যাপারে প্রশিক্ষক মিলন খান বলেন, আমরা সামর্থ্য থেকে মানুষকে সচেতন করতে চেষ্টা করছি। যদিও এটা আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। এভাবে সবাইকে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে। আপনি, আমি এবং আমরা সবাই সচেতনতা ও সতর্কতা অবলম্বন করতে পারি, তাহলে পরিবার, সমাজ, দেশ ভালো থাকবে।