রাজধানীতে ১৯৯৮ কেজি পচা মহিষের মাংস জব্দ
-
-
|

রাজধানীতে ১ হাজার ৯৯৮ কেজি পচা মহিষের মাংস জব্দ
রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে মিথিলা পরিবহনে করে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত খাওয়ার অযোগ্য বিপুল পরিমাণ মহিষের মাংস জব্দ করেছে র্যাব।
সেই মাংসের সূত্র ধরে, রাজধানীতেই অস্বাস্থ্যকর মাংস রাখার দুটি গোডাউনে পৌঁছে আরো বিপুল পরিমাণ পচা মাংস জব্দ করে তারা।
বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) বার্তা২৪.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অভিযানের নেতৃত্বদানকারী র্যাব ২ এর কোম্পানী কমান্ডার মেজর এইচ এম পারভেজ আরেফিন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন আনিসুর রহমান।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে গাবতলীতে মিথিলা পরিবহনের মালামাল রাখার নোংরা বক্স থেকে ১৪৮ কেজি মাংস আটক করি।
পরবর্তীতে ঐ সূত্র ধরে আমরা মিরপুর ১১ তে তালাব বিহারী পল্লী মাংসের গোডাউনে পৌঁছাতে সক্ষম হই। সেখানে দুটি গোডাউন পেয়ে যায়। গোডাউন দুটির মালিক জালাল এবং মোহাম্মদ কামাল। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ এই ব্যবসা করে আসছে।

মেজর পারভেজ আরেফিন বলেন, অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাংস গুলো সংরক্ষণ করেছে তারা। যার ফলে মাংসের গুণগত মান সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। এই মাংস খেলে শরীরে নানা ধরনের রোগ ব্যাধি দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে ফুড পয়জনিং, অ্যানথ্রাক্স, ক্যান্সার, রেবিস সহ অন্যান্য মারাত্মক ধরনের রোগের সম্ভাবনা রয়েছে।
আমরা অভিযান চালিয়ে গোডাউন দুটির একটি থেকে ১৪৮০ কেজি এবং অন্যটি থেকে ৩৭০ কেজি মাংস জব্দ করি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা ইন্ডিয়ান আলানা নামক একটি কোম্পানি থেকে মাংস আমদানি করে থাকে। এই মাংসের গুণগতমান সংক্রান্ত কোন সার্টিফিকেট ছিল না।
এছাড়াও আমদানিকৃত ইনভয়েসের কোন ভাউচার কিংবা রেজিস্টার পাওয়া যায়নি। এই অসাধু চক্রটি খাওয়ার অযোগ্য মাংস বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁ ও সুপারশপে এবং রাজধানীর বাইরে অন্যান্য জেলা শহরগুলোতেও প্রেরণ করে।
র্যাবের এই মেজর বলেন,পরে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জালালকে ২ লাখ এবং মোহাম্মদ কামালকে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয় ও অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।