অবসান হলো দীর্ঘ প্রতীক্ষার। শুরু হলো মুজিব বর্ষ। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ, অর্থাৎ জাতির পিতার এক জন্মদিন থেকে আরেক জন্মদিন পর্যন্ত বছরটি উদযাপিত হবে মুজিব বর্ষ হিসেবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিন ১৭ মার্চ মঙ্গলবার। ১৯২০ সালে বঙ্গবন্ধু যেদিন জন্মগ্রহণ করেছিলেন সেদিনও ছিল মঙ্গলবার। ১৭ মার্চ রাত ৮টায় সারা দেশে একযোগে আতশবাজি ও ফানুস উড়িয়ে স্মরণীয় করে রাখা হবে বঙ্গবন্ধুর জন্মক্ষণ।
সোমবার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে শুরু হয়েছে মুজিব বর্ষ। আগামী এক বছর বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপিত হবে বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানের জন্মশতবর্ষ। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর-অধিদপ্তর, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি দূতাবাসগুলোতে পালন হবে মুজিব বর্ষ।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সকাল সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারাদেশে সংগঠনের সকল কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন।
সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ। অনুরূপ কর্মসূচি সারাদেশে অনুষ্ঠিত হবে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান টুঙ্গীপাড়ায় কর্মসূচি:
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের প্রতিনিধি দল টুঙ্গীপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশ নেবেন।
সারাদেশে দোয়া মাহফিল ও বিশেষ প্রার্থনা:
মঙ্গলবার বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সকল মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং সারা দেশের সব মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির আয়োজন রয়েছে।
সকাল ৮টায় তেজগাঁও গির্জায়, সকাল ৯টায় মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চ (৩/৭-এ সেনপাড়া, পবর্তা, মিরপুর-১০)-এ খ্রিস্টান সম্প্রদায়, সকাল ১০টায় মেরুল বাড্ডার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করেছে।
এতিম ও দুঃস্থদের খাবার ও মিষ্টি বিতরণ:
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে আজিমপুর এতিমখানা প্রাঙ্গণে অসহায়, দুঃস্থ ও এতিমদের মাঝে খাবার, বস্ত্র ও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ব্যবহার্য সামগ্রী বিতরণ করা হবে।
দুপুর ১টায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বনানী করাইল বস্তিতে এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এতিম ও দুঃস্থ মানুষের মাঝে খাবার ও মিষ্টি বিতরণ করা হবে।
এছাড়াও বাদ আসর রাজধানীর প্রতিটি ওয়ার্ডে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ দুঃস্থদের মানুষের মাঝে খাবার ও মিষ্টি বিতরণ করবে। সারাদেশে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হবে।
আতশবাজি ও আলোকসজ্জা:
রাত ৮টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মক্ষণ উপলক্ষে সারা দেশে একযোগে আতশবাজি ও ফানুস উত্তোলন হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ৩২ ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে, ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়, ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবর, হাতিরঝিল, সোরাওয়ার্দী উদ্যান, টিএসসি ও জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় আতশবাজির প্রদর্শনী চলবে। এছাড়াও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কে আলোকসজ্জা হবে।
রাত ৮টার পর জন্মশতবর্ষ উদযাপনের উদ্বোধনী কর্মসূচি একযোগে সকল গণমাধ্যমে প্রচারিত হবে। গত ১০ জানুয়ারি ক্ষণগণনার মধ্য দিয়ে মুজিব বর্ষের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
সংসদের বিশেষ অধিবেশন:
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আগামী ২২ ও ২৩ মার্চ দুই দিনব্যাপী সংসদের বিশেষ অধিবেশন বসবে। সেই অধিবেশনে কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ বিধিতে প্রস্তাব সাধারণের ওপর বঙ্গবন্ধুর জীবন কর্ম নিয়ে সংসদ সদস্যরা আলোচনা করবেন। এছাড়া বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অধিবেশনে থাকবেন। অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভাষণ দেবেন।
সংসদের বিশেষ অধিবেশন ছাড়াও বছরব্যাপী নানা কর্মসূচির মাধ্যমে মুজিব বর্ষ উদযাপিত হবে। দেশ ও দেশের বাইরে বছরব্যাপী থাকবে আলোচনা-সেমিনার, স্বাস্থ্য ক্যাম্প, সাইকেল র্যালি, মেলাসহ নানা আয়োজন। যদিও করোনাভাইরাসের কারণে অনেক কর্মসূচিই কাটছাঁট করা হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে আরো ব্যাপকভাবে মুজিব বর্ষ উদযাপনের কর্মসূচি পালিত হবে।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কয়েকটি জেলার ১০ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থায়ীভাবে চাকুরি চাকরিচ্যুত করা হয়। এরই প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৈষম্যবিরোধী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারী প্ল্যাটফর্মের আন্দোলনে ব্ল্যাকআউটের মুখে পড়েছে ফেনী।
ইতোমধ্যে জেলা শহর ব্যাতীত পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন উপজেলাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ ঘটনায় ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার মো. ফজলুর রহমানকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল ৩টা থেকে এ এখন অব্দি জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার চার লাখ গ্রাহক।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি পালন করছেন তারা। এর আগে চলতি বছরের শুরুতে আরইবি-পবিস (পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি) একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নসহ সব চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দাবিতে তারা আন্দোলন শুরু করে। ওই সময় তারা মে মাসে পাঁচ দিন ও জুলাই মাসে ১০ দিন কর্মবিরতি পালন করেছিল।
ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জুনিয়র প্রকৌশলী ওয়ালী উল্ল্যাহ বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফেনীতে বেলা ৩টা থেকে আমরা ব্ল্যাক-আউট কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আমরা বিগত কয়েক মাস ধরেই গ্রাহক সেবা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রেখে যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করেছি। এ প্রেক্ষাপটে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। কয়েকজনকে গ্রেফতার ও ১০ জন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে জানতে ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার মো. ফজলুর রহমানকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডাকা হয়েছিল। বিকেল ৫টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে সাদা পোশাকে থাকা কয়েকজন ব্যক্তি একটি মাইক্রোবাসে তুলে ফেনী মডেল থানায় নিয়ে যান। আমরা থানায় এসে গত কয়েক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছি এখনো কিছু জানতে পারিনি।
এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের ব্যাপারে জানতে তাকে (জিএম) থানায় আনা হয়েছে। তার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা চলছে।
এদিকে ব্ল্যাক আউটের কবলে বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ। ফয়সাল মাহমুদ শাওন নামে একজন বলেন, ৩টা থেকে বিদ্যুৎ নেই। এভাবে সব বন্ধ করে রখা জনগনের সাথে ফাজলামি করা। এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের অধিনে থাকা বিদ্যুৎ বিতরণ বন্ধ থাকলেও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিকেলে চালু হয়।।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল থেকে নেত্রকোনা জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিলেও সাড়ে তিনটা থেকে ময়মনসিংহ, জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে আইনশৃংখলাবাহিনী তৎপরতা চালিয়ে বন্ধ হওয়া সংযোগ চালুর চেষ্টা করেন।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিত করার দাবিতে আন্দোলন করছিল। কিন্তু আন্দোলনের সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া কর্মকর্তাদের বরখাস্ত ও দুই দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবি আজ দুপুর সাড়ে তিনটা থেকে ময়মনসিংহ জেলার তিনটি সমিতি ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।
ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, অফিসারদের বরখাস্তের প্রতিবাদে আন্দোলনকারী সাড়ে তিনটার পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করতে শুরু করেন। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিকেল সাড়ে ৫টার পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করতে শুরু করি।
পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) ময়মনসিংহের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল হক বলেন, ময়মনসিংহ জেলায় সাড়ে তিনটা থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকলেও সাড়ে ৫টার পর থেকে লাইন চালু হতে শুরু করে।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম খান বলেন, আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামীর কুঞ্জুছায়া আবাসিক এলাকায় বিভিন্ন বাড়ির আঙিনায় জমাটবদ্ধ পানিতে মিলেছে এডিস মশার লার্ভা। এই অভিযোগে ৬ ব্যক্তিকে ৫২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে সিটি কর্পোরেশন (চসিক)।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) চসিকের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট চৈতী সর্ববিদ্যা ও স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
চসিক সূত্র জানায়, কুঞ্জুছায়া আবাসিক এলাকায় রাস্তার ওপর দোকান স্থাপন করে জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে ৬ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন চসিক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট চৈতী সর্ববিদ্যা। অপর এক অভিযানে স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন কুঞ্জুছায়া আবাসিক এলাকার ফুটপাতে নির্মাণসামগ্রী রাখার অপরাধে এবং বিভিন্ন বাসাবাড়ির আঙিনায় জমাটবদ্ধ পানিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৬ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু পূর্বক ৫২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেটদের সহায়তা দেন।
ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজার জার্সি ও ছবি আগুনে পুড়িয়ে সিলেটে স্ট্রাইকার্স কর্তৃপক্ষকে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলেনর সমন্বয়ক ও সিলেটের শিক্ষার্থীবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার (১৭অক্টোবর) বিকেলে সিলেট নগরীর রিকাবিবাজারে জেলা স্টেডিয়ামের গেইটের সামনে সিলেটের শিক্ষার্থীবৃন্দ’র ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ প্রদর্শনে এই আল্টিমেটাম দেয়া হয়।
এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ অংশ নেন। এসময় বৈষম্যবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা।
কর্মসূচির উদ্যোক্তারা জানান, আমরা দেখেছি দেশের ক্রান্তিলগ্নে ফ্যাসিস্ট সরকার হাসিনার পক্ষ নিয়েছে তারা এখন নতুন বাংলাদেশে উপস্থিত থাকতে পারে না। যে মাশরাফি বিন মর্তুজা ছিল বাংলাদেশের মানুষের কাছে ভালোবাসার জায়গা ও আবেগের জায়গায়। কিন্তু দেখেছিলাম যখন খুনি হাসিনা আমাদের ভাই-বোনদের গুলি করে নির্বিচারের হত্যা করেছে তখন তারা প্রতিবাদ না করে নীরব ভূমিকা পালন করেছে এবং খুনি হাসিনাকে সমর্থন করেছে।যেটা আমাদের ওপর ও দেশের ওপর অবিচার করেছে। সে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এটা আমরা কোনোভাবে মেনে নেবো না। এখন আমরা হুঁশিয়ারি করে বলতে চাই আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে সিলেট স্ট্রাইকার্স টিম থেকে মাশরাফি বিন মর্তুজাকে বাতিল না করে তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবো। সেই সাথে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে বয়কট করবো।
এসময় শাহজালাল বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়েরর শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলেনর সমন্বয়ক হাফিজুল ইসলাম বলেন, মাশরাফি বিন মর্তুজা যখন ক্রিকেটার ছিল তখন আমরা তাকে সম্মান করতাম ও ভালবাসতাম। কিন্তু যখন দেশের মানুষ দেশের জন্য ও দেশের স্বার্থের জন্য মাঠে নেমে আসে তখন মাশরাফি আমাদের পক্ষে থাকে নাই। সে ফ্যাসিস্টদের সহযোগী হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অবস্থান করেছে। দেশের মানুষ তাকে ভালবাসতো কিন্তু সে কি করেছ, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্টদের পক্ষ নিয়েছে। হাজার হাজার ভাই-বোনদের রক্তের বিনিময়ে আমরা দ্বিতীয়বার দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমাদের এই স্বাধীন দেশে ফ্যাসিস্টদের কোনো দোসর আমাদের এই দেশে থাকতে পারবে না।
তিনি বলেন, আমারা ঘোষণা করতে চাই মাশরাফি সিলেটে আসতে পারবে না। শাহজালালের পূণ্যভূমিতে আওয়ামী লীগের কোনো দোসরদের ঢুকতে দেয়া হবে না। সিলেট স্ট্রাইকার্সকে আমরা হুঁশিয়ারা করে দিয়েছি আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে তারা আওয়ামী লীগের এই দোসর মাশরাফিকে সরিয়ে দল পুনর্গঠন করতে।