বঙ্গবন্ধুর জন্মক্ষণে শুরু হবে মুজিব বর্ষের আনুষ্ঠানিকতা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মুজিব বর্ষের লোগো

মুজিব বর্ষের লোগো

১৯২০ সালের ১৭ মার্চ রাত ৮ টায় টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ঠিক সেই ক্ষণেই মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) শুরু হবে মুজিব জন্মশতবর্ষের আনুষ্ঠানিকতা।

সোমবার (১৬ মার্চ) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

কামাল চৌধুরী জানান, গত ১০ জানুয়ারি ক্ষণগণনার মধ্য দিয়ে মুজিব বর্ষের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ১৭ মার্চ রাত আটটায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আতশবাজির মধ্য দিয়ে মুজিববর্ষের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এছাড়াও রাত ৮টায় দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জনসমাগম এড়িয়ে আতশবাজির আয়োজন করা হবে।

তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুই ঘণ্টাব্যাপী ধারণকৃত অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ সব বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সম্প্রচারিত হবে। রাত দশটায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় পিক্সেল ম্যাপিং প্রদর্শনের মাধ্যমে মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষ হবে।

কামাল চৌধুরী বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আতশবাজি সরাসরি হওয়ার পর আমরা ধারণকৃত অনুষ্ঠানে যাবে। যার শুরু হবে শিশুকণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে। এরপর প্রচারিত হবে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাণী। এরপরের আয়োজনের মধ্যে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গীত হবে মুজিববর্ষের থিম সং। যাতে দেশের প্রথিতযশা শিল্পীদের সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানা। এ অনুষ্ঠানে পিতাকে নিয়ে শেখ রেহানার লেখা কবিতা আবৃত্তি করবেন শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় ৪০ মিনিটের একটি সাংস্কৃতিক পরিবেশনা রয়েছে। দেশের শিল্পীদের পরিবেশনায় থাকছে যন্ত্রসঙ্গীত। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নৃত্য পরিচালক আকরাম খানের পরিচালনায় থাকছে থিয়েট্রিক্যাল পারফরমেন্স। শেষে থাকবে পিক্সেল ম্যাপিং। আতশবাজির মতো এটিও সরাসরি অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি বলেন, অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বিশ্ব নেতা ও সংস্থার প্রধানদের বাণী প্রচারিত হবে। যাদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, নেপালের বর্তমান রাষ্ট্রপতি বিদ্যা ভল্ডারি, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, ওআইসির মহাসচিব ইউসেফ আল-ওথাইমিন প্রমুখ।