কেসিসি কাউন্সিলর, ওসিসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুজ্জামান মিয়া স্বপন ও সদর থানার সাবেক ওসি এমএম মিজানুর রহমানসহ ১৬ জনকে আসামি করে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২০১৭ সালে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়া রাজু হোসেনের মা রেক্সোনা বেগম বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

বন্দুকযুদ্ধে নিহতের প্রায় দুই বছর আট মাস পর আদালতে ছেলে হত্যার অভিযোগ এনে নালিশি পিটিশন দাখিল করলেন এই মা।

বিজ্ঞাপন

মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম বাদীর নালিশি পিটিশনটি তদন্তের জন্য সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ৩০ মার্চ পুলিশ রিপোর্ট প্রাপ্তির জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন তিনি।

নালিশি ওই পিটিশনে অন্যান্য আসামিরা হলেন এসআই দেবাশীষ, এসআই টিপু, এএসআই আনোয়ার, এএসআই মোশরফ, এএসআই আলমগীর, রবি (৪০), সাজু (৩৩), শামছু ব্যাপারী (৩০), মানিক (৩৮), নান্নু (৪৫), ইমরুল (৪০), কচি (৪৫), কালা বাবু (৪২) ও রাসেল।

নালিশি পিটিশন থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই ভোর রাতে সদর থানা পুলিশের একটি টিম বাদীর ছেলে রাজু হোসেন ওরফে বাবুকে মাইক্রোযোগে তুলে নিয়ে যায়। পরদিন সকালে তার গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে শনাক্ত করেন বাদী। ছেলের মৃত্যুতে অভিযুক্তদের যোগসাজশ রয়েছে বলে তিনি পিটিশনে দাবি করেন।

এ বিষয়ে সদর থানার সাবেক ওসি এম এম মিজানুর রহমান বলেন, রাজু হোসেন ওরফে বাবু ২টি হত্যা মামলাসহ ছিনতাই-চাঁদাবাজির অভিযোগের একাধিক মামলার আসামি। জোড়াগেট এলাকায় সাইদুল হত্যাকাণ্ডের পর আত্মগোপনে থাকা এ আসামিকে গ্রেফতারের অভিযানের সময় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সে মারা যায়। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল।

আর কেসিসি’র কাউন্সিলর শামসুজ্জামান মিয়া স্বপন বলেন, জনপ্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে অনেক সময় খারাপ মানুষের বিপক্ষে অবস্থান নিতে হয়। এ কারণে অনেকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করেন।