করোনায় বাংলাদেশে ৩ জন নিবিড় পর্যবেক্ষণে

  করোনা ভাইরাস
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন অধ্যাপক ডাক্তার মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন অধ্যাপক ডাক্তার মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে বাংলাদেশে তিনজন হাসপাতালের আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনে আছেন। এরা তিনজনই বিদেশ ফেরত।

শুক্রবার (৬ মার্চ) রাজধানীর রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির পরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘গত বুধবার মংলা বন্দরে ইন্দোনেশিয়া থেকে একটি জাহাজ এসেছে। সেখানে তিন জনের জ্বর দেখা দেয়। তাদের তিনজনই জাহাজের আইসোলেশন রাখা হয়েছে। জাহাজটি গভীর সমুদ্রে আছে। আমরা তাদের নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। দুজনের জ্বর ভালো হয়ে গেছে এবং একজনের জ্বর এখনো আচে। যদি দেখা যায় তার জ্বর আরও দীর্ঘায় হচ্ছে বা আরও কোনো লক্ষণ দেখা, যাচ্ছে তখন আমরা তাদের নমুনা সংগ্রহ করব।’

ডাক্তার মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘কুয়েত সরকার দেশটিতে গমনেচ্ছুদের করোনামুক্ত সার্টিফিকেট নিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। আমরা এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কুয়েত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা আমাদের সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে। তাই কুয়েতে গমনেচ্ছুদের শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। যাদের কুয়েতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল যেতে পারবেন। কুয়েত সরকারের পক্ষ থেকে এতে কোনো রকমের বাধা প্রদান করা হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘চীনসহ বিশ্বের ৮৬টি দেশ করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে। এ সংক্রমণে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ২৮৩ জনের এবং মোট আক্রান্ত হয়েছে ৯৫ হাজার ৩৩৩ জন। এর মধ্যে চীনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৫৬৫ জন এবং মৃত্যুর সংখ্যা ৩ হাজার ১৫ জন। তবে চীনে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমে এসেছে। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান ও ইতালিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।’

এই অধ্যাপক বলেন, ‘সিঙ্গাপুরে আক্রান্ত পাঁচজন বাংলাদেশির মধ্যে তিনজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আপর দুজনের একজন হাসপাতালে এখনো চিকিৎসাধীন আরেকজন আইসিইউতে আছেন। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা মোট ৩১ জন।’

তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ খুব ছোঁয়াচে। ছোঁয়াচে হলেও মৃত্যু ঝুঁকির সম্ভাবনা কম। আমাদের সচেতন হত হবে। গুজবে কান দেওয়া যাবে না। ভাইরাস প্রতিরোধের বিষয়গুলো মাথায় রেখে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।’