বরিশালে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন মেয়র প্রার্থীরা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল: বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের বাকী মাত্র আর তিনদিন। সাধারণ জণগনের মধ্যে নির্বাচনমুখী আলোচনা ক্রমেই তীব্রতর হচ্ছে। আর শেষ সময়ের উঠান বৈঠক ও গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন মেয়র প্রার্থীরা। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটে যাচ্ছেন তারা। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।

শুক্রবার (২৭জুলাই ) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ নগরীর বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়কে গণসংযোগ করেছেন। এর আগে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সোনালী অতীত ফুটবল ক্লাবের আয়োজনে অনুষ্ঠিত উঠান বৈঠকে অংশ নেন তিনি। এ সময় তিনি ভোটারদের কাছে দোয়া চেয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ভোটারদের প্রতি আমার একটিই অনুরোধ- আপনার ৩০ তারিখ ভোটকেন্দ্রে যাবেন। আপনার ভোট যাকে খুশি তাকে দেবেন। সব প্রার্থী চায় এবং বলে বিজয়ী হবে, কিন্তু কে বিজয়ী হবে সে রায় জনগণ দেবে। আর জনগণের রায়ের মধ্যে সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার আহবান জানান তিনি।

এ সময় সাদিক আরও বলেন, নির্বাচনে অবশ্যই অভিযোগ থাকবে, তবে শঙ্কা থাকার মতো কোনো ঘটনা বরিশালে ঘটেনি, বরিশালের নির্বাচনের পরিবেশ যথেষ্ট সুষ্ঠু রয়েছে। বরিশালের নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনো মারামারি-কাটাকাটি নেই। গণসংযোগকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার নগরীর ২৮ নং ওয়ার্ডে গণসংযোগ এবং টিয়াখালি নামক স্থানে পথসভা করেছেন। এর আগে সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, তিনটা চাঁদাবাজির মামলা করে মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে। পুলিশ আমাদের নেতা-কর্মীদের সে মামলায় গ্রেফতার করে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করছে।

বেছে বেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করাটা সুষ্ঠু নির্বাচনের বড় অন্তরায় বলেও মন্তব্য করেন মজিবর রহমান সরোয়ার। যারা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবে তারা যদি গ্রেফতার হয় তবে নির্বাচন করবে কে- এমন প্রশ্ন তুলে সরোয়ার বলেন, তিনটি থানায় তিনটি মামলা দিয়ে রেখেছে, অথচ হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে নট টু হ্যারেজ, নট টু এ্যারেস্ট।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসন হাইকোর্টের আদেশ মানছে না, তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিভাবে? বিষয়টি নির্বাচন কমিশনারকে জানানো হলে তিনি বলেছেন, প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

সরোয়ার বলেন, আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত করার জন্য আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরত রাখার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট একটি পরিকল্পনা করেছে।

/uploads/files/SuYjRvdM5ZE57krpy9d69LT34TBFb0oh3jJalsJb.jpeg

এদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মেয়র প্রার্থী প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব জুমার নামাজের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করেছেন।

গণসংযোগকালে তিনি বলেন, ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে কি-না, ভোট দিতে পারলেও তা সুষ্ঠু গণনায় আসবে কিনা এ নিয়ে সাধারণ জনগনের মধ্যে কৌতুহলের অন্ত নেই। তাই বিসিসি নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে নির্বাচনের দিন ভোটারদের ভোট প্রদান এবং ভোট হেফাজতের দায়িত্ব পালনে প্রশাসনকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

গণসংযোগের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট মুফাসসিরে কোরআন মাওলানা হাবিবুর রহমান মিছবাহ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শেখ মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগর সেক্রেটারী মাওলানা জাকারিয়া হামিদী, জেলা সেক্রেটারী উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য ও বরিশাল মহানগর সভাপতি- কে এম শরীয়াতুল্লাহ প্রমুখ।

এছাড়া জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন (তাপস), বাসদের মেয়র প্রার্থী ডাঃ মনিষা চক্রবর্তী, সিপিবির মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ পৃথকভাবে নগরীর বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ ও প্রচার প্রচারণায় অংশ নেন।