বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে: অমর একুশে গ্রন্থমেলায় অভিনব কায়দায় জাল নোট গছিয়ে দিয়েছে অসাধু চক্র। বইমেলার স্টলে ভিড়ের সুযোগ নিয়ে অসাধু চক্রের সদস্যরা জাল নোটের বিনিময়ে বই কিনে সঙ্গে আরও টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী বিক্রেতারা।
সুলেখা প্রকাশনীর বিক্রয় প্রতিনিধি নাসরিন ইসলাম স্বর্ণা বলেন, “সন্ধ্যার পর স্টলে যখন খুব ভিড় তখন দুজন ব্যক্তি স্টলের দুই পাশে দাঁড়ান। দুই দিক থেকে দুজন তাদের বাছাই করা পছন্দের বই দেওয়ার জন্য তাড়া দিতে থাকেন। একজনের বই প্যাক করে তার হাতে দিলে পঁচাত্তর টাকা দামের একটি বইয়ের দাম মেটাতে তিনি এক হাজার টাকার একটি নোট দেন। এক হাজার টাকার নোট দেখে সেটা চেক করতে যাচ্ছিলাম তখন অপর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ক্রেতা তার বইটি দেবার জন্য তাগাদা দিচ্ছিলেন।
আমি যখন ওই ক্রেতাকে বই দিতে যাচ্ছিলাম তখন তিনিই আবার আমাকে বললেন—আগে প্রথম ক্রেতাকে ভাংতি দিয়ে বিদায় করেন, এরপর আমাকে দেন। আমি ভাংতি টাকা দিয়ে প্রথম ক্রেতাকে বিদায় করার পরে এ পাশে তাকিয়ে দেখি দ্বিতীয় ক্রেতা উধাও! এরপর সন্দেহ হলে টাকাটা বের করে চেক করে বুঝতে পারি তারা এক হাজার টাকার জাল নোট গছিয়ে দিয়ে বাকি টাকা নিয়ে ভেগেছে!”
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় এভাবে প্রতারিত হয়েছেন বই বিক্রেতা নাসরিন ইসলাম স্বর্ণা। একই দিন ভিড়ের মধ্যে একই কায়দায় প্রতারিত হয়েছেন কথামালা প্রকাশনীর বিক্রয় প্রতিনিধি ইমরান হোসেন হৃদয়ও।
তিনি বলেন, মেলায় প্রতারক চক্র এভাবে সংঘবদ্ধভাবে জাল নোট গছিয়ে দিয়ে বইসহ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। একই কায়দায় তারা এমন ঘটনা একাধিক স্টলে ঘটিয়েছে। ঘটনাগুলোর ধরন দেখে বোঝা এরা সংঘবদ্ধ চক্র।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি একইভাবে প্রতারিত হয়েছেন পেন্ডুলাম পাবলিশার্সের বিক্রয় প্রতিনিধিরা। পেন্ডুলাম প্রকাশনীর প্রকাশক রুম্মান তাশফিক বলেন, আমার স্টলে দুটি এক হাজার টাকার জাল নোট এভাবে ধরিয়ে দিয়ে গেছে প্রতারক চক্র।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সুলেখা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী কামরুল ইসলাম সোহাগ বলেন, ব্যাপারটা খুব দুঃখজনক। বইমেলায় যারা আসেন তারা সুশিক্ষিত ও মার্জিত রুচির মানুষ। এমন জায়গায় এমন ঘটনার সম্মুখীন হতে হবে ভাবিনি কখনো। সবার ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনার সুযোগ নিয়েছে প্রতারক চক্র।
মন্ত্রণালয়ের অনুরোধক্রমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত দুইজনের চোখের কর্ণিয়া ট্রান্সপ্লান্টেশনের জন্য নেপাল থেকে অতি সংবেদনশীল কর্ণিয়াল টিস্যু কোনো ধরনের চার্জ ছাড়া দেশে পরিবহন করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
রোববার (২০ অক্টোবর) কাঠমান্ডু থেকে বিজি৩৭২ ফ্লাইটের মাধ্যমে ঢাকায় পরিবহনের পর তা জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. নওরোজ ফেরদৌস এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক এয়ারপোর্ট সার্ভিস মোঃ রাশেদুল করিম ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষা ২০২৪-এ অকৃতকার্য প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী জড়ো হয়েছে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড প্রাঙ্গণে।
রোববার (২০ অক্টোবর) সকাল থেকে অবস্থান নিয়েছে তারা। এদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিকেল থেকে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একাধিক টিম রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, বোর্ড কর্তৃপক্ষ মনগড়া ফল দিয়েছে। তাদের ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করানো হয়েছে। তারা এ ফল মানেন না। শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের আদলে তাদের মূল্যায়ন করতে হবে। তা নাহলে শিক্ষাবোর্ড প্রাঙ্গণ ত্যাগ করবেন না তারা।
দাবির প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নিজামুল করিম বলেন, ফেল করলে বোর্ড কর্তৃপক্ষের তো কিছু করার নেই। কোনো শিক্ষার্থী একটা বিষয়ে খারাপ করলে সম্পূর্ণ ফল ফেল আসবে- এটাই স্বাভাবিক। যদি কোনো শিক্ষার্থীর আপত্তি থাকে, তাহলে বোর্ডে আবেদন করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এখানে কারও কোনো হাত নেই। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের সামনে প্রকাশ্যে উত্তরপত্র পূণঃমূল্যায়ন করা হবে। তারপরও ৩ দিনের মধ্যে সকল বোর্ডের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এদিকে সন্ধ্যা ৬টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা এখনো শিক্ষাবোর্ড প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেনি।
ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ২০১৭ সালে মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়েছেন ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সদ্য সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার মো: আব্দুর রহমান। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের উপর প্রভাব বিস্তার করে কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠান আব্দুর রহমান। এরপর কেন্দ্রে থাকা আওয়ামী লীগের আরেক নেতা সাবেক মন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি শাহজাহান খানের সহযোগিতায় মুক্তিযোদ্ধা সনদ পেয়ে যান ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান।
ফরিদপুরের বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা অভিযোগ করে বলেন, স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর আব্দুর রহমানের মনে খায়েশ জাগে তিনি মুক্তিযোদ্ধা হবেন। রাষ্ট্রের একজন সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তির এতো বছর পর মনে হয়েছে তিনি মুক্তিযোদ্ধা হবেন এটা স্বাভাবিক বিষয় নয়। আওয়ামী লীগের তৎকালীন প্রভাবশালী এই নেতা ২০১৭ সালে ক্ষমতার বলে মুক্তিযোদ্ধা হন। ২০২১ সাল থেকে তিনি ভাতা ভোগী হন। আব্দুর রহমানের মুক্তিযোদ্ধা সনদ নং ০১২৯০০০৫৩৯৮, বেসামরিক গেজেট নং ৬৯১৭।
কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা জানান, মুক্তিযোদ্ধা হতে হলে তার নিজের এলাকা প্রকৃত পক্ষে যুদ্ধকালীন এলাকা থেকে আবেদন করতে হয়। এক্ষেত্রে তার যুদ্ধকালীন কমান্ডারসহ তিনজন সাক্ষীর প্রয়োজন হয়। প্রাথমিকভাবে মুক্তিযোদ্ধা সনদের জন্য আবেদন করবেন। এরপর উপজেলা থেকে যাচাই বাছাই শেষে কেন্দ্রে যাচাই বাছায়ের জন্য পাঠানো হয়। তারপর কেন্দ্র থেকে প্রতিনিধি এসে যাচাই বাছাই করে অনুমতি দেন। সেক্ষেত্রে জেলা পর্যায়ের যাচাই বাছাই কমিটি শুধু সাক্ষী গ্রহণ করে লিপিবদ্ধ করা ছাড়া কোন কাজ থাকে না।
এখানে ভিন্নমত প্রকাশ অনেকটা সাংর্ঘষিক হয়ে যায়। কারন যখন তার মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার যুদ্ধে অংশ নেওয়া আরো দুজন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন সেখানে জেলা থেকে জানা অজানা বিষয়টি শুধু ধারাবাহিকতা।
মুজিব বাহিনীর যুদ্ধকালীন থানা কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর ওহাব বলেন, আব্দুর রহমান একজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। ২০১৭ সালে মধুখালী থেকে চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে প্রভাব খাটিয়ে পাশের উপজেলা বোয়ালমারীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন ও আবুল ফয়েজ শাহনেওয়ারজের মাধ্যমে এই অপকর্ম করেন। এছাড়া রহমান কেন্দ্রের অর্থাৎ ঢাকার সাহায্য নেন। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ইউএনওকে ব্যবহার করে তিনি সকল প্রক্রিয়া শেষ করেন। তিনি কোন যুদ্ধ করেননি। আর তাকে যে প্রক্রিয়া করে মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে তার সবই মিথ্যা ও বানোয়াট।
ফরিদপুর জেলা থেকে যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি সাবেক জেলা কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আবুল ফয়েজ শাহ নেওয়াজ বলেন, আমি যাচাই বাছাই কমিটির সাত সদস্যের একজন ছিলাম। আসলে জেলা থেকে যাচাই বাছাই কমিটি বলা হলেও আমাদের কাজ ছিল সাক্ষীদের বয়ান লিপিবদ্ধ করা। আবেদনকারী আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমানের পক্ষে বোয়ালমারী উপজেলার বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনসহ তিনজন সাক্ষী দেন। আমরা শুধু সাক্ষীদের বয়ান ও আবেদনকারীর বয়ান লিপিবদ্ধ করেছি। তারা আব্দুর রহমানকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রে দায়িত্বে ছিলেন শাহজাহান খান। তিনি নিজে এসে বিষয়টি নিয়ে শুনানি করে আব্দুর রহমানের পক্ষে প্রতিবেদন দেন।
আবুল ফয়েজ বলেন, এর আগে আব্দুর রহমান আমাকে একাধিক বার ফোন করে তার পক্ষে থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন। আমি বলেছি, আপনার যুদ্ধকালীন কমান্ডার ও সাক্ষীরা যা বলবে তা-ই হবে। এখানে আমার কোন কাজ নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে ফয়েজ বলেন, স্বাধীনতার এতো বছরে শুনিনি তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন বা তিনিও কখনও বলতেন না। হঠাৎ করে আবেদন করেন। তারপর তৎকালীন ইউএনও সাহেব উদ্যোগ নিয়ে বাকি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেন।
সাবেক সাংসদ ও মুজিব বাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা শাহ মোহম্মদ আবু জাফর বলেন, আব্দুর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিল বিষয়টি আমি জানি না। এছাড়া তিনি আর কোন মন্তব্য করেননি।
মুজিব বাহিনীর থানা কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা কবিরুল আলম মাও বলেন, স্বাধীনতার এতো বছর পর আব্দর রহমানের মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার বিষয়টি আমার কাছে বোধগম্য নয়। তিনি সচেতন মানুষ। তিনি মুক্তিযোদ্ধা হলে এতো দেরি করলেন কেন? তৎকালীন ইউএনও কথা শুনেছি তিনি উদ্যোগী হয়ে নাকি সব করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার ও আব্দুর রহমানের প্রধান সাক্ষী আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, আব্দুর রহমান ৭১ ছাত্র ছিলেন। তিনি ভারতে মুক্তিযুদ্ধের জন্য ট্রেনিং এর জন্য গিয়েছিলেন। যুদ্ধের সময় তিনি রানাঘাটে অবস্থান করেন এবং যুদ্ধ শেষ হলে দেশে ফিরে আসেন। যেহেতু ট্রেনিং নিয়েছেন সেই কারণে তাকে মুক্তিযোদ্ধা সনদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া দুজন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার ও আব্দুর রশিদ সাক্ষ্য দেন তারা আব্দুর রহমানকে ভারতে দেখেছেন।
মো: আব্দুর রহমান ১৯৫৪ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। আওয়ামী লীগের প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। শেখ হাসিনার পঞ্চম মন্ত্রীসভায় মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিল। আব্দুর রহমানের পৈতৃক বাড়ি ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার কামালদিয়া গ্রামে। তার পিতা মো. শরিয়তউল্যা ও মাতা আয়েশা শরিয়তউল্যা। তিনি ফরিদপুর সরকারি ইয়াছিন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
আব্দুর রহমান ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের কার্যনির্বাহী সদস্য ও ১৯৮৪ সালে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন এবং ১৯৮৬ সালে তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়ে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
২০০১-২০০২ সালে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কমিটির সদস্য ছিলেন। আওয়ামী লীগের দ্বি-বার্ষিক ১৭তম সমেম্মলনে সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৯তম সম্মেলনে কার্যনির্বাহী সদস্য, ২০তম সম্মেলনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ২১তম সম্মেলনে সভাপতিমন্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০৮, ২০১৪ ও ২০২৪ সালে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ফরিদপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার অন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার দেশত্যাগ ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।
পিরোজপুরের নেছারাবাদে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে ২ জেলেকে ১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামান এ আদালত পরিচালনা করেন।
কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার কাজলাহার গ্রামের বাসিন্দা মো. মিজান ও রিদুল আলী হাওলাদার।
জানা গেছে, ২ আসামি ভোরে উপজেলার অলংকারকাঠি গ্রামের আবাসন এলাকা সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীতে ইলিশ মাছ ধরছিল। এ সময় মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা সৌরভ মন্ডল ও নৌপুলিশ সদস্যরা নদীতে টহল দিচ্ছিল। খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৫টি ইলিশ মাছ এবং ১০ হাজার মিটার জাল জব্দ করা হয়। পরে তাদের ইউএনওর কার্যালয়ে হাজির করলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ২ জনকে ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
উপজেলা মৎস্য অফিসের মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা সৌরভ মন্ডল বলেন, অভিযানে জব্দ করা মাছ দুস্থদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১০ হাজার মিটার জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে এ সময় নদীতে মাছ ধরা নিষেধ। আইন অমান্যকারী যেই হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।