‘করোনা চীনে সৃষ্টি তার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই’

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ডিক্যাব টকে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং

ডিক্যাব টকে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং

করোনাভাইরাস চীনে সৃষ্টি হয়েছে এমন কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। পশ্চিমারা বারবার অপপ্রচার করছে এই ভাইরাস চীনে সৃষ্টি হয়েছে, তা সত্য নয় বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডিক্যাব আয়োজিত ‘ডিক্যাব টকে’ এসব কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, অনেক দেশ চীনকে দোষারোপ করছে, যা বাঞ্ছনীয় নয়। চীনের সরকার এ ইস্যুতে খুবই সতর্ক ভূমিকা পালন করছে। চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিংপিং মানুষের জীবন রক্ষায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন, সেটা চীন অথবা চীনের বাইরে যেখানেই হোক না কেন।

আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা কেন্দ্র গড়ে তুলেছে চীন। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আড়াই হাজার চিকিৎসাকর্মীকে উহান রাজ্যে নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানান লি জিমিং।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সম্পর্কে চীন স্বচ্ছতা বজায় রেখেছে এবং সকল তথ্য বিশ্বকে জানানো হচ্ছে।

গোটা বিশ্বকে এই ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে করণীয় নির্ধারণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান চীনা রাষ্ট্রদূত।

তিনি বলেন, ঢাকাস্থ চীনের দূতাবাস চীনা নাগরিকদের এ দেশে থাকতে নির্দেশনা দিয়েছে এবং বাংলাদেশে বিভিন্ন কাজে যুক্ত যারা চীনে ফিরে গেছেন তাদের এখনই ফিরে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। চীনে কর্মরত একজনও বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশে কর্মরত কোনো চীনা নাগরিক এখনও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সিঙ্গাপুরে ও বাইরে ৫ জন সংক্রামিত হয়েছেন।

ভাইরাসের কোনো দেশ-সীমান্ত নেই মন্তব্য করে লি জিমিং বলেন, ১৬০ দেশ চীনকে এ নিয়ে সহমর্মিতা দেখিয়ে বলেছে তারা আমাদের পাশে আছে।

চীনের প্রেসিডেন্টকে লেখা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিঠির কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাইরাসের আক্রমণে স্বজন হারানো চীনা পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। চীন সরকার কর্তৃক দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের সঠিকভাবে সেবা প্রদানেরও প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। করোনাভাইরাস প্রতিহত করতে শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে চীনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক, গাউন ও হাতমোজা পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯) শনাক্ত করতে বাংলাদেশকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ৫০০টি স্বাস্থ্য পরীক্ষার উপকরণ (কিট) দিচ্ছে চীন। আগামী দুই দিনের মধ্যে উপকরণগুলো বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে।

চীনের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে পশ্চিমা মিডিয়া অপপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের মিডিয়া বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করেছে। এ জন্য বাংলাদেশের মিডিয়াকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে লি জিমিং বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমার মিলে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপে বেশকিছু কৌশল প্রণয়ন করছে। রোহিঙ্গা ইস্যু বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের বিষয়। চীন শুধু এটা নিয়ে ইতিবাচক সহযোগিতা করতে পারে।

অনুষ্ঠানে ডিক্যাব সভাপতি আঙ্গুর নাহার মন্টি ও সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান বক্তব্য রাখেন।