'দেশের নারীরা এখন স্বাবলম্বী'

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

দেশের নারীরা এখন স্বাবলম্বী হতে আগ্রহী। নারীরা দায়িত্ব পেলে সমাজ ও পরিবারকে ভাল রাখে। পরিশ্রম ও আন্তরিকতার সাথে কর্মমুখী প্রশিক্ষণ নিলে কর্মঠ নারীরা সহজেই স্বাবলম্বী হতে পারে। নারী-পুরুষ সমান তালে এগিয়ে গেলে সমাজ ও দেশ এগিয়ে যাবে। দেশের বৃহৎ জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর করা গেলেই দেশের উন্নতি সম্ভব।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা সার্কিট হাউজ সম্মেলনকক্ষে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-২ ওয়াহিদা আক্তার খুলনা জেলার পিছিয়ে পড়া নারীদের স্বাবলম্বীকরণের লক্ষ্যে দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-২ ওয়াহিদা আক্তার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অসহায় বয়স্ক ব্যক্তি, বিধবা, প্রতিবন্ধী, স্বামী পরিত্যক্তা, হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। এর মাধ্যমে সমাজের তুচ্ছতাচ্ছিল্য নিয়ে নয়, বরং মর্যাদা নিয়ে বাঁচার সুযোগ পাচ্ছে পিছিয়ে পড়া মানুষেরা। গর্ভবতী ও দুগ্ধ দানকারী নারীদেরও ভাতার আওতায় এনেছে সরকার।

বিজ্ঞাপন

নারীদের নিজের পুষ্টি চাহিদা পূরণে নজর রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, অসহায় নারীদের পরিবার ভালো না বাসলেও দেশ ও রাষ্ট্র তাদের ভালবাসে। প্রধানমন্ত্রী এতিম শিশু ও আশ্রয়হীন বয়স্কদের জন্য শান্তি নিবাস চালু করছেন। যেখানে এতিম শিশুরা পাবে নানা-নানীর স্নেহ, বয়স্করা পাবে নাতী নাতনির সহচার্য।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, খুলনা জেলা প্রশাসন নিজ উদ্যোগে সমাজের পিছিয়ে পড়া নারী জনগোষ্ঠীর কল্যাণে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে। এর অংশ হিসেবে নারীরা বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ, প্রশিক্ষণকালীন ভাতা, বিনামূল্যে পেশাগত উপকরণ যেমন সেলাই মেশিন ও বিউটি পার্লারের উপকরণসহ প্রশিক্ষণ শেষে আর্থিক সহযোগিতা পাবেন।

পরে প্রধান অতিথি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন খুলনার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ইশরাত জাহান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক নার্গিস ফাতেমা জামিন, মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর কবীর, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সাহেব আলী প্রমুখ।