জেলা পরিষদ কর্মকর্তার অর্থ আত্মসাতের সত্যতা পেল দুদক
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে খুলনা জেলা পরিষদে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে সাবেক প্রধান সহকারী মো. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ৪৫ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাতের সত্যতাও মিলেছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনা জেলা পরিষদ ভবনে এ অভিযান পরিচালনা করে দুদক খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
অভিযান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ সংবাদকর্মীদের জানান, জেলা পরিষদের সাবেক প্রধান সহকারী মো. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এ অভিযান পরিচালিত হয়। জেলা পরিষদের বিভিন্ন কাজের দরপত্র বিক্রির ২৩ লাখ টাকা, খেয়াঘাট ইজারার ২০ লাখ টাকা ও টিএবিল বাবদ ১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ছিলো কমিশনের কাছে। অভিযানে জেলা পরিষদের সাবেক প্রধান সহকারী মো. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রায় ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়।
তিনি আরো বলেন, অভিযুক্ত মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা চলমান। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের টিএ বিল, দরপত্র বিক্রি ও মহেশ্বরপাশা খেয়াঘাট ইজারা দিয়ে পাওয়া টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগ আছে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে। এছাড়া আমরা সকল নথি সংগ্রহ করে দুদক প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করবো। পরবর্তীতে প্রধান কার্যালয় থেকে যে নির্দেশনা আসবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক নীলকমল পাল, খন্দকার কামরুজ্জামান, সহকারী পরিদর্শক শ্যামল চন্দ্র সেন প্রমুখ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, দরপত্র বিক্রির ২৩ লাখ টাকার মধ্যে মিজানুর রহমান এরই মধ্যে ১৩ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন। বাকি টাকা শীঘ্রই ফেরত দেবেন বলে জানিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চলমান রয়েছে।