অস্ট্রিয়ায় বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে আবদুল মুহিতকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে । রাষ্ট্রদূত বাদেও তাকে ভিয়েনায় জাতিসংঘের কার্যালয় ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবেও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বর্তমানে তিনি ডেনমার্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত মুহিত ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) পররাষ্ট্র বিষয়ক ক্যাডারে যোগ দেন। ২৭ বছরের দীর্ঘ কূটনীতিক যাত্রায় তিনি কুয়েত, নিউ ইয়র্ক এবং ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ মিশনে কাজ করেছেন। পাশাপাশি তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উইং-এ কর্মরত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত মুহিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
রাজধানীর টিটিপাড়া স্টেডিয়ামের সামনে ট্রাকের ধাক্কায় জাকির হোসেন (৪৪) নামে এক অটোরিকশা চালক নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল ৬টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জাকির হোসেনের ছেলে শাকিল খান গণামধ্যমকে জানান, প্রতিদিনের মতো আমার বাবা আজ সকালেও অটোরিকশা নিয়ে বের হয়েছিলেন। টিটিপাড়া স্টেডিয়ামের সামনের রাস্তায় দ্রুতগতির একটি ট্রাক বাবাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। আমরা খবর পেয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় বাবাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান সে বেঁচে নেই।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক চিকিৎসকের বরাত দিয়ে অটোরিকশা চালক জাকির খানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মরদেহ ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সাথে মিয়ানমার জান্তার মধ্যে এখনো চলমান রয়েছে যুদ্ধ। শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে যেন কেঁপে ওঠে এপারের সীমান্তবর্তী টেকনাফ-উখিয়া এলাকা। ভারি মর্টার শেলের আওয়াজ সীমান্ত এলাকার নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। ভারি বোমার আওয়াজ এতোটাই শক্তিশালী যে নাফ নদী পেরিয়ে এপারেও যেন মনে হয় ভূমিকম্প হচ্ছে।
টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের আচারবুনিয়া গ্রাম। এই গ্রামটি নাফ নদীর তীরে অবস্থিত। নদিটি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে বিভক্ত করেছে। সীমান্তবর্তী এই গ্রামের ঠিক ওপারে অবস্থিত মংডু শহরে কয়েক মাস ধরে মায়ানমার জান্তা সেনা ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে ভয়াবহ লড়াই চলছে।
সীমান্তের ওপারে শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট ভূকম্পনের কারণে কক্সবাজারের টেকনাফের এই গ্রামে অন্তত ২৫টি মাটির ঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে দাবি করেছেন গ্রামবাসীরা।
সোমবার (২১ অক্টোবর) আচারবুনিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলো মাটি ও ইট দিয়ে তৈরি এবং সেখানে বসবাস করছে নিম্ন আয়ের গ্রামবাসীরা। গভীর ফাটল তাদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি করছে।
গ্রামবাসীরা যুদ্ধের শিকার হওয়ার জন্য গভীরভাবে উদ্বীগ্ন। যদিও তাদের সাথে যুদ্ধের কোন সম্পর্ক নেই বলে তারা দাবি করেছে। এমনকি ঘর মেরামতের জন্য পর্যাপ্ত টাকাও তাদের কাছে নেই বলে জানান।
গ্রামের একজন জাহেদ উল্লাহ বলেন, 'মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান যখন সীমান্তের ওপারে বোমা বর্ষণ করে তখন আমাদের বাড়িঘর এমনভাবে কেঁপে ওঠে যেন ভূমিকম্প হয়। বিস্ফোরণের শব্দ এতটাই প্রচণ্ড যে তা আমাদের মাটির ঘরগুলোকে কম্পিত করে। বিস্ফোরণের বিকট প্রতিক্রিয়ায় আমার বাড়ি এবং আমার ভাইয়ের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটি একদিনে তৈরি হয়নি, বড় বোমার প্রভাবে গত তিন মাস ধরে আমাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।'
গৃহবধূ হামিদা খাতুন জানান, 'মিয়ানমারের দিক থেকে বোমা বিস্ফোরণে বাড়ির দেয়াল ভূমিকম্পের মতো কেঁপে ওঠে। যখন প্রচণ্ড শব্দে বোমাগুলো বিস্ফোরিত হয়, তখন আমাদের শিশুরা ভয়ে চিৎকার করে উঠে। বিস্ফোরণের শব্দে আমরা প্রায় তিন মাস রাতে ভালোভাবে ঘুমাতে পারিনি।'
তিনি বলেন, 'আমরা ভয়ে বসবাস করছি। যে কোনো বোমা যদি ভুলবশত আমাদের এলাকায় পড়ে যায়, আমরা মুহূর্তের মধ্যে মারা যাব।'
টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, 'বিস্ফোরণের ফলে যে আফটার শক হচ্ছে তার ফলে এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছি। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। যাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারা সরকারি সহায়তা পাবেন।'
চট্টগ্রামে ট্রাকসেল-এ পণ্য বিক্রি না করা নিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার হুঁশিয়ারির পর ঘুম ভেঙেছে কৃষি বিপণন অধিদফতরের।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) থেকে সংস্থাটি নগরীর পাঁচ পয়েন্টে ৪৫০ টাকায় ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে। এই কার্যক্রমে তাদের সহযোগিতা করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার সকালে নগরীর চকবাজারের কাঁচাবাজারের সামনে গিয়ে দেখা যায়, ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করছে কৃষি বিপণন অধিদফতর। ট্রাকের ওপর পেঁয়াজসহ নানা সবজির বস্তা। আছে ডিমও। ট্রাকের সামনে নারী ও পুরুষের দুটি দীর্ঘ লাইন। ন্যায্যমূল্যে পণ্য পাওয়ায় সাধারণ মানুষদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া দেখা গেছে। ফলে পণ্য বিক্রির সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা দম ফেলার ফুসরতও পাচ্ছিলেন না।
কৃষি বিপণন অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, তারা ৪৫০ টাকার প্যাকেজে পাঁচ পদের পণ্য দিচ্ছেন। এর মধ্যে আছে এক ডজন ডিম, দুই কেজি পেঁয়াজ, চার কেজি আলু, এক কেজি করলা, এক কেজি পেঁপে। ভোক্তারা প্রতি ডজন ডিম ১৩০ টাকা, দুই কেজি পেঁয়াজ ১৪০ টাকা, চার কেজি আলু ১২০ টাকা, এক কেজি করলা ৪০ টাকা ও এক কেজি পেঁপে পাচ্ছেন ২০ টাকায়।
কৃষি বিপণন অধিদফতরের এই কার্যক্রম তদারকি করছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চট্টগ্রামের অন্যতম সমন্বয়ক ও টাস্কফোর্স টিমের সদস্য জোবায়ের আলম মানিক।
তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘কৃষি বিপণন অধিদফতরের অধীনে নগরীর পাঁচটি পয়েন্টে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেও এর আগে এমন কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। এখন থেকে কৃষি বিপণন অধিদফতরও শুরু করল। আমরা সরাসরি কৃষক আর বাজার থেকে পণ্য সংগ্রহ করে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। আমরা স্বল্পলাভেই এসব পণ্য দিচ্ছি। সুতরাং যারা মধ্যসত্বভোগী ব্যবসায়ী যারা আছে তাদের একটা বার্তা দিতে চাই, সেটি হলো আমরা শিক্ষার্থী কিংবা সরকার যদি স্বল্প লাভে পণ্যগুলো বিক্রি করতে পারি-তাহলে আপনারা কেন পারবেন না। আমরা অতি মুনাফা করার সেই পথ থেকে সরে আসুন। আপনারা ব্যবসা করুন, তবে কোনোভাবেই জনগণের দুর্ভোগ বাড়িয়ে করা যাবে না।
সেখানে পণ্য কিনতে আসা বেশিরভাগ মানুষই ছিলেন উৎফুল্ল। কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যদি উদ্যোগ নিয়ে কম দামে পণ্য বিক্রি করতে পারেন, তাহলে ব্যবসায়ীরা কেন পারছেন না। নিশ্চয় তারা আমাদের কাছ থেকে কয়েকগুণ বেশি লাভ করছেন। আজকাল বাজারে সবজিতে হাত দেওয়া যায় না, অথচ এখানে ন্যায্যমূল্যে পাচ্ছি। তারাও তো কিছুটা লাভ করতেছে। তারা যদি লাভ করেও এত কম দামে পণ্য বিক্রি করতে পারেন, তাহলে ব্যবসায়ীরা কেন পারছেন না। যেসব ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন তাদের সেই সিন্ডিকেট দ্রুতই ভেঙে দিতে হবে।’
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পতিতালয় থেকে দেশীয় চোরাই মদসহ মাদক কারবারি মরিয়ম বেগম (৪২) কে গ্রেফতার করেছে রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
সোমবার (২১ অক্টোবর) রাত ১০ টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৫০ লিটার দেশীয় চোরাই মদ জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মরিয়ম বেগম বাগেরহাটের মংলা উপজেলার হাজী আফছার উদ্দিন সড়ক, সেলবুনিয়ার মোজাম্মেল শেখের মেয়ে। তার স্বামীর নাম আক্তার হোসেন আক্তার।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সনজিব জোয়াদ্দার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বিশেষ অভিযান চালায় দৌলতদিয়া পতিতালয়ে অবস্থিত গোরস্থান গলির জনৈক বাবু ব্যাপারীর বাড়িতে।
বাবু ব্যাপারীর বাড়িতে ভাড়া থাকত গ্রেফতারকৃত মরিয়ম বেগম ও তার স্বামী আক্তার হোসেন আক্তার। ওই বাড়িতে চোরাই দেশীয় মদ বিক্রির সময় তাকে আটক করা হয়। এ সময় সেখান থেকে ৫০ লিটর দেশীয় চোরাই মদ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত চোরাই মদের আনুমানিক অবৈধ বাজারমূল্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি মাদক মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।