পর্দা উঠলো বই মেলার

  • ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বইমেলার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী, ছবি: সংগৃহীত

বইমেলার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী, ছবি: সংগৃহীত

বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২০ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২ জানুয়ারি) বিকেল ৪টা ২০মিনিটে বাংলা একাডেমির প্রাঙ্গণে বই মেলার উদ্বোধন করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের বইমেলা জাতির পিতার প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে। এই জন্য বাংলা একাডেমিকে ধন্যবাদ জানাই। বাংলা সাহিত্যে অবদান রাখার জন্য যারা পুরস্কার পেয়েছেন তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দিতে পেরে আমি আনন্দিত।

উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা, পদক ও অর্থমূল্য ৩ লাখ টাকার চেক তুলে দেন।

এ বছর পুরস্কার পেয়েছেন ১০ জন। তারা হলেন, ২০১৯ সালে কবিতায় মাকিদ হায়দার, কথাসাহিত্যে ওয়াসি আহমেদ, প্রবন্ধ ও গবেষণায় স্বরোচিষ সরকার, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্যে রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, অনুবাদে খায়রুল আলম সবুজ, আত্মজীবনী/স্মৃতিকথা/ভ্রমণে ফারুক মঈনউদ্দীন, বিজ্ঞান/কল্পবিজ্ঞানে নাদিরা মজুমদার, নাটকে রতন সিদ্দিকী, শিশুসাহিত্যে রহীম শাহ এবং ফোকলোরে সাইমন জাকারিয়াকে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩য় স্মৃতিকথা ‘আমার দেখা নয়া চীন’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী নয়া চীন সম্পর্কে বলেন, বঙ্গবন্ধু এ বইতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনের যেমন বর্ণনা দিয়েছেন,তেমনি নয়া চীনের সাধারণ মানুষদের জীবধারা নিয়েও বর্ণনা দিয়েছেন। সেগুলো তিনি গভীরভাবে অনুভব করেছেন, পর্যবেক্ষণ করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে এ বইতে আমরা একজন সমালোচক, পর্যবেক্ষক ও পর্যটক হিসেবে দেখতে পাই।

বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ নামে আরও দুইটি বই প্রকাশিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু ১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে দুই বার চীন সফর করেছিলেন। প্রথম সফরের সময়কার বিভিন্ন অভিজ্ঞতা তিনি একটি ডায়েরিতে লিখে রেখেছিলেন। সেই সফরের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি ওই সময়কার চীনের রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক অবস্থা উঠে এসেছে এই বইটিতে। বইয়ে বঙ্গবন্ধুর ওই ডায়েরির কয়েকটি পাতার ছবিও রয়েছে।

এরআগে স্বাগত বক্তব্যে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী বলেন, 'বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করেই আমাদের এ আয়োজন। এবারের বইমেলা বাঙালির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আয়োজন।'

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য প্রদান করেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান,বিশেষ অতিথি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ প্রমুখ।

জানা যায়, এবার সর্ববৃহৎ পরিসরে আয়োজিত হচ্ছে গ্রন্থমেলা। শুধু পরিসর নয়, এবার বেড়েছে প্রকাশনা সংস্থার সংখ্যাও। এছাড়া এবারের বইমেলা বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে একটি থিম নির্ধারণ করা হয়েছে। স্থপতি এনামুল করিম নির্ঝর বঙ্গবন্ধুকে কেন্দ্র করে মেলার আঙ্গিক ও সামগ্রিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন।