'শতভাগ ত্রুটিমুক্ত হয়নি সিটি নির্বাচন'

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সংবাদ সম্মেলন, ছবি: বার্তা২৪.কম

ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সংবাদ সম্মেলন, ছবি: বার্তা২৪.কম

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন শতভাগ ত্রুটিমুক্ত হয়নি বলে জানিয়েছে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ১২৯টি ওয়ার্ডের অন্তর্গত ২৪৬৮টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের ৫০৭ জন প্রশিক্ষিত নির্বাচন পর্যবেক্ষক সর্বমোট ৭২৯টি কেন্দ্র ভ্রাম্যমাণ ভিত্তিতে পর্যবেক্ষণ করে। এই পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম এই তথ্য তুলে ধরে।

ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মো. আবেদ আলী বলেন, আমরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করেছি। যা পর্যবেক্ষণ করেছি, দেখেছি তাই এখানে তুলে ধরেছি। শতভাগ ত্রুটিমুক্ত নির্বাচন সম্পন্ন করা বর্তমান প্রেক্ষাপটে খুবই দুরূহ কাজ। তাই ঢাকা সিটি নির্বাচনও শতভাগ ত্রুটিমুক্ত নয়। কিছু কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ, অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন এজন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। নির্বাচনে ভোট গ্রহণের হার প্রায় ২৮ শতাংশ ছিল। ভোটের হার কম হওয়ার পেছনে রাজনৈতিক দলের সদিচ্ছার অভাব ও উদাসীনতা লক্ষ করা গেছে। তারা সচেষ্ট হলে ভোটারদের উপস্থিতির হার আরো বাড়তে পারত।

নির্বাচন কমিশনের প্রতি কিছু সুপারিশ করে তিনি বলেন, ইভিএম বিষয়ে সাধারণ ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। আগামী নির্বাচনগুলোতে আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নির্বাচনে লেমিনেটিং, প্লাস্টিক মোড়ানো পোস্টার ব্যবহারকারী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার।