করোনাভাইরাস আতঙ্কে মাস্ক কেনার হিড়িক, সুযোগ নিচ্ছেন বিক্রেতারা

  • রাসেদ হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মাস্ক বা মুখোশ ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে

মাস্ক বা মুখোশ ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে

চীনে ছড়িয়ে পড়া রহস্যময় করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ কারণে সারা বিশ্বে এই ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ ভাইরাসের আতঙ্ক ভর করেছে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যেও।

এই ভাইরাস থেকে রেহাই পেতে চিকিৎসকরা মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। করোনাভাইরাস আতঙ্কে রাজধানীতে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে মাস্ক বা মুখোশ ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে।

বিজ্ঞাপন

এতে করে বেড়েছে মাস্কের চাহিদা। আর এই সুযোগে বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। তবে বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদা বাড়লেও চীন থেকে আসা এ ধরনের মাস্কের সরবরাহ কমে গেছে।

সার্জিক্যাল মাস্ক, ফিল্টার মাস্ক, ফেস মাস্কসহ বিভিন্ন ধরনের মাস্ক রয়েছে

মাস্ক বিক্রেতা রফিকুল আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, করোনা ভাইরাস আতঙ্কে মাস্কের চাহিদা বেড়ে গেছে। সার্জিক্যাল মাস্ক, ফিল্টার মাস্ক, রেসপিরেটর হিসেবে তৈরি ফেস মাস্কসহ বিভিন্ন ধরনের মাস্ক থাকলেও সার্জিক্যাল মাস্কের চাহিদাই বেশি। তবে দাম একটু বেশি। কারণ এই মাস্কগুলো চীন থেকে আসে। চীনে এই ভাইরাসের প্রকোপ বেশি হওয়ায় মাস্ক আমদানি কমে গেছে।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলিস্তান, পল্টন, শাহবাগ ও ফার্মগেট এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়। রাস্তাঘাটে সাধারণ মানের যে মাস্ক ৫ টাকায় বিক্রি হতো, এখন তা ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর কয়েক দিন আগেও যে ফিল্টার মাস্কের দাম ২৫ টাকা ছিলো। এখন তা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ওষুধের দোকানগুলোতে সার্জিক্যাল মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। যা কয়েকদিন আগেও ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

কথা হলো মাস্ক ক্রেতা জুনায়েদ আহমেদের সঙ্গে। আলাপকালে বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, আমি কখনোই মাস্ক পড়িনা। বিরক্ত লাগে। শুনেছি হাঁচি-কাশি থেকে বাতাসের মাধ্যমেও করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। তাই আজ একটা মাস্ক কিনলাম। কিন্তু দাম অনেক বেশি চাচ্ছে। যেটা ২০ টাকায় বিক্রি করতো এখন সেটা ৫০ টাকা চাচ্ছে। সব দোকানেই একই অবস্থা।

অভিযোগের বিষয়ে সচিবালয়ের সামনের রাস্তার ভ্রাম্যমাণ মাস্ক বিক্রেতা সহিদুল ইসলাম বলেন, মাস্কের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাইকাররা দাম বাড়ায়া দিছে। বেশি দামে আমাদেরকে কিনতে হচ্ছে তাই বিক্রি করছি একটু বেশি দামে।