রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে এক কেজি ৪৭৫ গ্রাম হেরোইনসহ ইসমাইল হোসেন বাবু (৩০) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার সিএন্ডবি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-৫।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব-৫ এর কোম্পানি কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাইনুল ইসলাম।
তিনি জানান, উপজেলার সিএন্ডবি আচুয়া এলাকায় বাবু নামের এক মাদক ব্যবসায়ী বিপুল পরিমাণ হেরোইন বিক্রির উদ্দেশে অবস্থান করছে এমন খবরের ভিত্তিতে র্যাব-৫ এর একটি দল ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করেন। সেখান থেকে বাবুকে ১ কেজি ৪৭৫ গ্রাম হেরোইনসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
পরে তাকে হেরোইনসহ নগরের মোল্লাপাড়াস্থ র্যাব-৫ এর সদর দফতরে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
উদ্ধারকৃত হেরোইনের বাজারমূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা বলে জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
রাজধানীর রমনা এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় তিন গৃহকর্মী গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এ সময় চুরির ৩১ ভরি ৪ আনা ৫ রতি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন- তানজিনা আক্তার ফারিয়া, কহিনুর বেগম ও নাজমা আক্তার ওরফে লাইজু।
শনিবার (১২ অক্টোবর) সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. সারোয়ার জাহান।
জানা যায়, গত ১৬ আগস্ট রোখসানা মজুমদার ব্যাংকের লকারে গচ্ছিত স্বর্ণালংকার এনে নিজের রমনার বাসার আলমারিতে রাখেন। পরবর্তীতে ৮ অক্টোবর গহনা দেখার জন্য আলমারির মধ্যে থাকা ব্যাগ খুলে দেখেন যে, ব্যাগের মধ্যে থাকা ৪৪ ভরি স্বর্ণালংকার ও ডায়মন্ডের ৫টি আংটি নাই যার আনুমানিক মূল্য ৫২ লাখ টাকা।
এরপর বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে রমনা মডেল থানায় একটি চুরির মামলা রুজু করা হয়। মামলায় বাসার স্থায়ী গৃহকর্মী তানজিনা আক্তার ফারিয়া, কহিনুর বেগম ও অস্থায়ী গৃহকর্মী নাজমা আক্তার ওরফে লাইজুকে এজাহার নামীয় আসামি করা হয়।
মামলা রুজু হওয়ার পর রমনা থানা পুলিশ তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকালে কাকরাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে চুরির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গৃহকর্মী তানজিনা আক্তার ফারিয়া ও কহিনুর বেগমকে গ্রেফতার করে। তাদের দুইজনকে শুক্রবার আদালতে প্রেরণ করা হলে তানজিনা আক্তার ফারিয়া আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন যে, তিনিসহ গ্রেফতারকৃত কহিনুর বেগম ও নাজমা আক্তার লাইজু এ চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
আদালত কহিনুর বেগমের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আসামির দেখানো মতে বাদীর বাসার গৃহকর্মীদের শয়ন কক্ষ থেকে ৮ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে রমনার ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাতে নাজমা আক্তার লাইজুকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার হেফাজত থেকে ১৬ ভরি ১৫ আনা ৪ রতি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারের জন্য গ্রেফতারকৃত লাইজুকে নিয়ে কারওয়ান বাজারের স্বর্ণ মার্কেটে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে অনন্যা জুয়েলার্স থেকে গলিত অবস্থায় ২ ভরি ১২ আনা ৪ রতি এবং নুসরাত জুয়েলার্স থেকে গলিত অবস্থায় ৩ ভরি ৮ আনা ৩ রতি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখিত চুরির মামলায় রমনা মডেল থানা কর্তৃক মোট ৩১ ভরি ৪ আনা ৫ রতি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। অবশিষ্ট চোরাই স্বর্ণালংকার উদ্ধার এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মাছের ঘেরে রাতের আধারে বিষ প্রয়োগ করে কয়েক হাজার মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের পুনামাপাড়ার বাসিন্দা সানু মিয়ার ঘেরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, বরাবরের মত গতকাল রাতে ঘেরে মাছের খাবার দিয়ে বাসায় যায় সানু মিয়া ও তার স্বজনরা। আজ সকালে এসে দেখেন রাতের আধারে কে বা কারা বিষ প্রয়োগ করায় ঘেরের মাছ ছোটাছুটিকরাসহ মৃত মাছ ভাসতে থাকে।
প্রতিবেশী বৃদ্ধ জুয়েল ফরাজী বলেন,আমাদের এই অঞ্চলের খুব কম মানুষ মাছ চাষ করে। অনেক আশা নিয়ে সানু মিয়া মাছ চাষ করেছে। অনেক টাকা বিনিয়োগ এবং দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় মাছ বিক্রি করতে। কিন্তু দূর্বৃত্তদের বিষে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সব মাছ মরে গেল। এভাবে চললে মাছ চাষ বন্ধ করে দেয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ক্ষতিগ্রস্ত সানু মিয়া কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, গভীর রাতে কে আমার এতো বড় ক্ষতি করলো তা আমি জানি না৷ সকালে এসে দেখি আমার ঘেরের সব মাছ ভেসে উঠছে। পানি বেশি থাকায় তাৎক্ষণিক মাছ ধরতেও পারছি না। আমার ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
লতাচাপলি ইউনিয়নের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে বিষয়টি জানার জন্য ইউনিয়ন বিএনপি'র সভাপতি, সাংগঠনিক, সিনিয়ার সহ-সভাপতিসহ ঘটনাস্থানে এসেছি। এটি খুবই দুঃখজনক বিষয়। কে বা কারা করেছে এখনো নিশ্চিত নয়। তবে ভুক্তভোগী শানু মিয়াকে মহিপুর থানায় বিষয়টি অবহিত করার কথা জানিয়েছি। বিএনপি'র পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা শানু মিয়ার জন্য থাকবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, এটি সত্যিই দুঃখজনক। এবিষয় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষীকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করবো। তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীকে আইনের আওতায় আনা হবে।
নেত্রকোনার চারটি উপজেলায় বন্যার পানি কমতেই ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। গেল সাতদিনে পানি কমলেও এখনও জেলার কলমাকান্দা সদরসহ বেশ কিছু এলাকার নিচু বাড়িঘরের আশপাশ পানিতে তলিয়ে রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, কৃষিজমি তলিয়েছে প্রায় ২৫ হাজার হেক্টর। এতে প্রায় ৩১৩ কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জেলায় মাছের ঘের ও পুকুর ডুবেছে ১৪৮০টি। মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে ৭২৩ দশমিক ৪৩ মেট্রিক টন মাছের পোনা ভেসে যাওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ হবে ৮ কোটি ২৪ লাখ টাকার বেশি। তবে এই ক্ষতি আরও বেশি বলে দাবি মৎস্য চাষিদের।
এখনো প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক ও এক হাজার ৬৩৮ কিলোমিটার পাকা সড়কপথ স্বাভাবিক হয়নি। সরকারি হিসেব অনুযায়ী ৪৮ হাজার মানুষ পানিবন্দী হলেও এর সংখ্যা অনেক বেশি বলে দাবি আক্রান্ত এলাকার মানুষদের।
লেবাননের রাজধানী বৈরুত থেকে ইরানের এক কামান্ডারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত কমান্ডার ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্বাস নীলফরৌশন। লেবাননে ইসরায়েলকে মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা করছিলেন তিনি।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) তেহরান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইআরজিসির জনসংযোগ বিভাগের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর বৈরুতে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি হিজবুল্লাহর সদর দফতরে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে গোষ্ঠটির প্রধান হাসান নাসরুল্লাহসহ আরও কয়েকজন নেতা নিহত হন। একই হামলায় নীলফরৌশনও নিহত হয়েছিলেন। কিন্তু ইরান তা গোপন রাখে। অবশেষে তার মরদেহ উদ্ধার হওয়ায় বিষয়টি স্বীকার করল তেহরান।
সম্প্রতি ইসরায়েল লেবাননে হামলা শুরু করে। বিমান হামলায় নিহত হন ইরানের ঘনিষ্ঠ সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। এতে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কার মধ্যে ইসরায়েলে ১৮০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে তেহরান। এরপর সমীকরণ এক প্রকার ঝুলে আছে।
ইরান বলছে, তারা আর হামলা করতে চায় না। কিন্তু তেলআবিব জবাব দিলে তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত রয়েছে। সে সঙ্গে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমর্থন বাড়ানোর চেষ্টা করছেন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। অপরদিকে সর্বাত্মক যুদ্ধ এড়াতে পশ্চিমা মিত্রদের থেকে চাপ বাড়ছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওপর। এমন সময় ইরানি কমান্ডার নিহতের খবর প্রকাশ্যে এলো।