‘নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রমাণ দিতে হবে বিএনপিকে’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে বিএনপির এমন অভিযোগ তাদেরকে প্রমাণ করতে হবে।

তিনি বলেন, বিএনপি তথ্য-প্রমাণ দিক সেটা দেশবাসী জানুক। অন্ধকারে ঢিল মারা আর মন গড়া কথা বললে তো হবে না।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে ব্রাক সেন্টারের অডিটরিয়ামে ব্রাক ব্যাংক আয়োজিত নারী গাড়িচালকদের প্রশিক্ষণ পরবর্তী সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তারপরও নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে একেবারে দূরে। নির্বাচন শুরুর পর আমাদের অফিস ভিজিট করিনি আজ পর্যন্ত। কিভাবে নির্বাচনকে প্রভাবিত করছে সরকার আমি তো বুঝতে পারছি না।

নির্বাচন কর্মকর্তারা চাইলে ইভিএমে ভোট কারচুপি করতে পারে সুজনের এমন অভিযোগকে কিভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সদ্য সমাপ্ত দুটি নির্বাচনের উদাহরণ দিয়ে আমি বলছি চট্টগ্রাম-৮ এর উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়লাভ করেছে। এদিকে বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় এই পদ্ধতিতেই বিএনপির প্রার্থী জয় লাভ করেছে। যদি কোনো কারচুপির বিষয়ে কাজ করতো তাহলে চট্টগ্রামের উপ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি অনেক বৃদ্ধি পেত। তাই যুক্তি ছাড়া কথা বললে তো হবে না।

তিনি আরও বলেন, এতদিন যতো নির্বাচন ইভিএমে হয়েছে কোথায় তারা ভোট কারচুপির তথ্য প্রমাণ পেয়েছে, একটার কথা তারা উল্লেখ করুক। তারা শুধু বলেই যাচ্ছেন। বলার জন্য বলছেন আর বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করে যাচ্ছেন। সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ইভিএম পদ্ধতিতে বিএনপির প্রার্থী জয়লাভ করেছে।

খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে বিশেষ আবেদন করা হলে সরকারের পক্ষ থেকে কি প্রতিক্রিয়া আসবে এমন প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, বিশেষ আবেদন এর কথা বলছেন তারা আসলে বিশেষ আবেদন কার কাছে করবেন আদালতের কাছে নাকি সরকারের কাছে। খালেদা জিয়া যেহেতু এখন আদালতের এখতিয়ারে আছেন সেহেতু সরকারের কাছে আবেদন করে তো লাভ নেই।

সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সহমর্মিতা থাকবে কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটাতো লিগ্যাল ইস্যু সহমর্মিতার বিষয় তো নয়। আমাদের দেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী তিনি কারাগারে আছেন দণ্ডিত হয়ে। সহমর্মিতার কোনো ঘাটতি তো নেই। তবে এটা পুরোপুরি আদালতের বিষয়।

এর আগে মন্ত্রী প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১১ জন নারী গাড়িচালককে সনদপত্র প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নারী ও শিশু সচিব কাজি রওশন আখতার, ব্রাক ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আসিফ সালেহ প্রমুখ।