নারী নির্যাতন সরকার বিচারবহির্ভূত রাখবে না: আইনমন্ত্রী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আইন, বিচার ও সংসদ-বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক

আইন, বিচার ও সংসদ-বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক

আইন, বিচার ও সংসদ-বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আমি আশ্বস্ত করে বলতে চাই ধর্ষণসহ নারী নির্যাতনের কোনো ঘটনাকে সরকার বিচারহীন রাখতে চায় না, রেখে দেবে না।

তিনি বলেন, সরকার এ বিষয়ে সজাগ রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠনগুলোরও সহযোগিতা প্রয়োজন। কারণ নারী নির্যাতন রোধে তারা প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনেক কাজ করে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের (এমজেএফ) আয়োজিত ‘মানুষের জন্য মানবাধিকার পদক-২০২০’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মানবাধিকার কর্মীরা সরকারের সহযোগিতা পাবেন উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, সরকার আপনাদের মানবাধিকার রক্ষা এবং কাজে সব সময় পাশে থাকবে এবং সহযোগিতা করে যাবে। সেই সঙ্গে সরকার মানবাধিকার রক্ষা ও তা রোধে অঙ্গীকারবদ্ধ। সরকার বিশ্বাস করে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সমৃদ্ধি এবং উন্নয়নের স্বার্থে মানবাধিকার অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত।

নাগরিকের সব রকম স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সরকার নাগরিকদের জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা সেই সঙ্গে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সদা নিয়োজিত রয়েছে। বাংলাদেশের প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া নির্ভয় পক্ষপাতহীন ভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

এ সময় মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে আছে মানবাধিকার কর্মীরা। তারপরও আমরা কাজ করে যেতে চাই। এবং সে কাজ যেন নির্বিঘ্নে করতে পারি সেই প্রত্যাশায় করি।

ডেপুটি হেড অব মিশন এন্ড হেড অফ কোঅপারেশন 'সিডা' ক্রিসটিন জোহানসন বলেন, যে সমাজ, যে দেশ মানবাধিকারের দিকে লক্ষ্য রাখে সে দেশ দ্রুত উন্নতির দিকে এগিয়ে যায়।

ডিএফআইডি বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ জুডিথ হার্বাটসন‌ বলেন, মানবাধিকার বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

অনুষ্ঠানে চতুর্থবারের মতো এবারও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা এমন ১০ জন কর্মীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে কেউ বাল্যবিবাহ, কেউ প্রতিবন্ধী, আবার কেউ শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের থিম সং পরিবেশন করা হয়। এরপর ব্রাকের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবেদকে নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি দেখানো হয়।

পদক প্রদান অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কে এম আব্দুস সালাম, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম প্রমুখ।