বাণিজ্য মেলায় নানা ডিজাইনের ব্লেজারের পসরা, ক্রেতা কম

  • নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বাণিজ্য মেলায় নানা ডিজাইনের ব্লেজারের পসরা/ছবি:

বাণিজ্য মেলায় নানা ডিজাইনের ব্লেজারের পসরা/ছবি:

শীতবস্ত্রের মধ্যে তরুণদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে নানা ডিজাইনের ব্লেজার। তরুণদের মধ্যে ব্লেজারের ক্রেজ থাকলেও এর চাহিদা সব বয়সীদের মধ্যেই দেখা যায়। সব বয়সী ক্রেতাদের কথা মাথা রেখে প্রতিবছরের মতো এবারের বাণিজ্য মেলায় বাহারি স্যুট, কোট-ব্লেজার এনেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

শুরুতে বেচাকেনা কম থাকলেও মেলার শেষ ভাগে ব্লেজারের দোকানগুলোতে ভিড় লেগেই থাকে। ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে ব্যবসায়ীরাও গোল্ডেন অফার, ফাটাফাটি অফার- নামে নানান ছাড় দিয়ে থাকেন। এবার বাণিজ্য মেলায় শুরুতে তেমন ক্রেতা-দর্শনার্থী ছিল না। দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেলার মধ্যভাগে এসে বেড়েছে জনসমাগম।তবে এখন পর্যন্ত ব্লেজারের তেমন ক্রেতা পাননি ব্যবসায়ীরা। তাই অনেকটা হতাশা লক্ষ্য করা গেছে তাদের মধ্যে।   

বিজ্ঞাপন
শীতবস্ত্রের মধ্যে তরুণদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে নানা ডিজাইনের ব্লেজার

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) মেলা ঘুরে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি স্টলে নানা রঙ, ফেব্রিকস ও সাইজের কোট-ব্লেজারের পসরা সাজানো। বাংলাদেশি রয়েল কটন ও ক্লাসিক, কোরিয়ান ইয়াহোম, চীনের হাওয়াই কাপড়ের তৈরি সুপার শাইন, প্ল্যানেট, কাতা স্টিচ, গ্লোসি, প্যানেল, গ্লোজিশিয়ান মডেলের ব্লেজার বিক্রি হচ্ছে ১৫৫০ থেকে ২৩০০ টাকায়। এর মধ্যে শিশুদের ব্লেজার পাওয়া যাচ্ছে ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকায়। তবে মেলার ১৩ দিনের মাথায় ক্রেতার সংখ্যা কম থাকায় হতাশ বিক্রেতারা।

তারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর ব্লেজার-কোট বিক্রি অনেকটা কম। গত কয়েকদিন ধরে মানুষ মেলায় আসা শুরু করলেও এখনো কেনাকাটা শুরু করেনি। তবে মেলার শেষার্ধে বেচাকেনা জমে উঠবে বলে আশা করছেন দোকানিরা।

রামিসা হেন্ডিক্রাফটের ম্যানেজার শাকিল আহমেদ বলেব, 'আমাদের এখানে ব্লেজারের দাম কম আছে। এছাড়ারা ক্রেতারদের দামাদামির সুযোগ রয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, এবার ক্রেতা কম। সামনে ক্রেতা বাড়ার আশা করছি। কারণ গত শনিবার থেকে কিছু লোক আশা শুরু করেছে।

মোহাম্মদ শাহীন খান নামে এক বিক্রেতা বলেন, লোক কম তাই বিক্রি ভালো যাচ্ছে না। শীত বেশি কিন্তু বিক্রি কম।'

 এবারের বাণিজ্য মেলায় বাহারি স্যুট, কোট-ব্লেজার এনেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান

স্কাইলাইনের ম্যানেজার শাহবুদ্দিন বলেন, আমাদের স্টলে শো রুম থেকে ৫০ শতাংশ কম দামে ব্লেজার বিক্রি করছি। তবে এখনো তেমন বিক্রি করতে পারিনি। এইবার শীত আগেই পড়ার কারণে অনেকে কেনাকাটা আগেই করে ফেলছে। আশা করছি সামনের দিনগুলোতে বিক্রি ভালো হবে।

বেসরকারি চাকরিজীবী রিফান, মেলায় ঘুরতে এসে ব্লেজারের দোকানে এসেছেন। তিনি ট্রায়াল দিয়ে দেখছেন। এ সময় বলেন, শীত ছাড়াও কোন প্রোগ্রামে গেলে ব্লেজার-কোট দরকার হয়। তাই মেলা থেকে কিনতে এলাম। এখানে শুনেছি দামও কম থাকে।

এদিকে ব্র‍্যান্ডের ক্ষেত্রে একটু ভিন্ন। সেখানে বিভিন্ন রং ও সাইজের কমপ্লিট স্যুট পাওয়া যাচ্ছে ৩৮০০ টাকায়। তবে শুধু ব্লেজার কিনলে ২৮০০ টাকা। তবে তাদের শো রুমে এই কমপ্লিট স্যুট কিনতে হলে সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা গুণতে হবে।

সাথে চার কলিগকে নিয়ে ফিট এলিগ্যান্স নামের একটি ব্লেজারের দোকানে যান জাবেদুল ইসলাম নামের এক চাকরিজীবী।

পছন্দের ব্লেজার কিনছেন ক্রেতারা

তাদের সবার হাতে ব্লেজার। জানতে চাইলে জাবেদুল বলেন, ফিট এলিগ্যান্স একটা ব্র‍্যান্ড। তাছাড়া তাদের শো রুম থেকে ব্লেজার কিনতে গেলে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা বেশি লাগত। তাই মেলা থেকেই কিনলাম।

প্রতিষ্ঠানটির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. গোলাম রাব্বানী বলেন, আমরা মেলায় বিজ্ঞাপনের জন্য শো রুম থেকে অনেক কম দামে বিক্রি করছি। তবে মেলার এসব ব্লেজার অথবা কমপ্লিট স্যুট শো রুমে পাওয়া যাবে না।

তিনি আরও বলেন, ক্রেতাদের ভালো সাড়া পাচ্ছি। তবে গতবছরের তুলনায় বিক্রি কিছুটা কমেছে। আশা করছি শেষার্ধে বিক্রি বাড়বে।