রাজধানীর বনানী থেকে হুমায়ুন কবির নামের সান লাইফ ইনস্যুরেন্সের এক কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে বনানীর ১৭ নম্বর রোডের বিটিএ ভবনের নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বার্তা২৪.কম-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া।
বিজ্ঞাপন
নিহত হুমায়ুন কবির সান লাইফ ইনস্যুরেন্সের আইটি বিভাগের প্রধান বলে জানিয়েছে সান লাইফ ইনস্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফুল ইসলাম।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে।
নেই কোনো কর্ম ও চাকরি। ছিলো না কোনো ব্যবসা। আর এসব কিছু না থাকলেও হয়েছেন বিপুল অর্থ-সম্পদের মালিক। যখন ইচ্ছে কিনছেন নতুন মোটরসাইকেল, করছেন বাড়ি। আবার টাকার গরমে বউকে পছন্দ না হওয়ায় মোটা অংকের টাকা দিয়ে ছেড়ে দিয়ে আবার দ্বিতীয় বিয়ে করারও অভিযোগ নাহিদের বিরুদ্ধে।
কোনো কিছু না করেই সম্পদের অভাব নেই তার, এতো তাড়াতাড়ি কিভাবে এতো পরিবর্তন তা নিয়ে চলছে জল্পনা কল্পনা। সম্প্রতি অর্থ-সম্পদের মালিক বনে গেছেন মাত্র ২৮ বছরের নাহিদ হোসেন নামের এক যুবক। তার চাল চলনে এমনটাই বলছেন স্থানীয়রা। আবার কেউ কেউ হাসির ছলে বলছেন, আলাউদ্দিনের প্রদীপ পেয়ে থাকতে পারে নাহিদ। অভিযোগ অন-লাইনে অবৈধ ডলারের ব্যবসা পরিচালনা সহ বিদেশি ভার্চুয়াল ব্যাংকে ডলার লেনদেন ও বিদেশি ব্যাংক- ক্যাশ অ্যাপ সাপোর্ট দেয়ার। আর এগুলো করেই আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছেন নওগাঁ সদর উপজেলার ৩ং বক্তারপুর ইউনিয়নের বক্তারপুর (চাকলা উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে) গ্রামের গোলাম হোসেন এর ছেলে নাহিদ হোসেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত তিন বছর আগেও কিছু না থাকলেও বর্তমানে বাড়ি গাড়িসহ নগদ টাকা ও সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। কয়েক বছর আগে নাহিদের বাবা গোলাম দিন মজুরি কাজ করে কোনো রকমে সংসার চালাতো। নাহিদের দাদারও ছিল না তেমন কোনো সহায় সম্পদ বা নগদ অর্থ। তাই পারিবারিক সূত্রে পায়নি তেমন কিছু। স্থানীয়রা বলছেন পুরোপুরি বেকার ছিল নাহিদ। কিন্তু গত দুই বছরের ব্যবধানে নাহিদ এখন কোটিপতি স্টাইলে চলাফেরা করছেন। আর তার এমন পরিবর্তন দেখে স্থানীয়রা হতবাক। করেনা কোনো কর্ম বা চাকরি। নেই কোনো ব্যবসা। অথচ তার এখন সম্পদের অভাব নেই, এতো তাড়াতাড়ি তার এমন পরিবর্তন নিয়ে এলাকায় চলছে আলোচনা-সমালোচনা। বর্তমানে বাড়ি পছন্দ না হওয়ায় সেটা ভেঙে পাঁচ তালা বিশিষ্ট বাড়ি নির্মাণ করছে বলে জানা গেছে। তবে সম্প্রতি এলাকায় একটি দোকান ভাড়া নিয়ে খুচরা চাল দোকান দিয়েছেন। যা লোক দেখানো বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, চাকলা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশেই পূর্বের বাড়ি পছন্দ না হওয়ায় ৫ তালা বিশিষ্ট বাড়ি নির্মান করছেন তিনি। আবার শ্যামপুর গ্রামে তার নানার বাড়ির এলাকায় কিনেছে বেশ কছিু ফসলি জমি। বর্তমানে ব্যবহার করছে আর ওয়ান ৫ আপডেট ভার্সনের মোটরসাইকেল। আছে দেড়শ সিসির পালসার গাড়িও। আছে কয়েকটি নামি-দামি মোবাইল ফোন। স্বর্ণও বানিয়েছে কয়েক ভরি। বরিউল নামের এক স্বর্ণকারের কাছে সে স্বর্ণের কাজ করিয়ে নিয়েছেন। স্বর্ণ বানানোর সত্যতা নিশ্চিত করে কারিগর রবিউল বলেন, আমরা তো আর দোকানদার নয়। তাই কি পরিমাণ সে স্বর্ণ বানিয়েছে তার রশিদ দিবো। তবে সে স্বর্ণ বানিয়েছে।
এদিকে নাহিদ গত ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে সংসার টিকেনি বেশিদিন। মাত্র কয়েক মাস সংসার করে শিফা খাতুন নামের ওই গৃহবধুকে তালাক দেয় নাহিদ। কেন তালাক দেয় এমন প্রশ্নে শিফা জানান, আমার কোনো দোষ ছিলোনা। আমি তার চোখে দেখতে অসুন্দর সেজন্য আমাকে বিনা কারণে তালাক দিয়েছে নাহিদ। বলা যায় আমাকে জোর করে তালাক দিয়েছে সে। সে সময় আমি ছিলাম অসহায়। আমার নিজের বলতে তেমন কেউ ছিলোনা এবং থানায় গেলে তবুও কেউ কিছু করতে পারবে না তার এটা বলে আমাকে ভয় দেখায়। বলতে গেলে আমি এতিম। গত বছরের জুলাই মাসে ভালো পরিমাণ নগদ অর্থ (১০লাখ টাকা ও ৫ ভরি) স্বর্ণ তাকে দেয়া হয়। তবে জানা যায়, শিফাকে তালাক দিয়ে গত ২০২৩সালের ৭জুলাই মুন নামের মেয়েকে ২য় বিয়ে করে নাহিদ।
গত ৯ মাস আগে চাকলা স্কুল মোড়ে দোকান ভাড়া নিয়ে নায্য মূল্য চাল ঘর নামে প্রতিষ্ঠান দিয়েছে নাহিদ। সেখানে তার বাবাকে দেখতে পাওয়া যায়। তবে অনেকেই বলছেন সম্পদের তথ্য যেন ফাঁস না হয় এবং মানুষের মনে সন্দেহ না জন্মায়, দায় এড়ানোর জন্য দোকানটি দিয়েছে। নাহিদের বাবা পড়াশোনা না জানলেও দিয়ে রেখেছেন দামি পিসি ও মনিটর। এলাকাবাসী বলছেন যে দোকান দিয়েছে সেটা শুধু মানুষকে বোকা বানানোর জন্য, যাতে মানুষ বুঝে সে ব্যবসা করে। আসলে তার সম্পদকে ঢাকতে কৌশল অবলম্বন করেছে সে। তার বাবা সহজ সরল এবং বয়স্ক। সেজন্য দোকানে তাকে বসিয়ে রেখে সে অবৈধভাবে অনলাইনে কাজ করে সে।
এলাকার একাধিক সচেতন ব্যক্তিরা জানান, নাহিদ অন-লাইনে স্কিপ্ট কারেন্সি, জুয়া, অবৈধ ডলার লেনদেন, ক্যাশ আপ সাপোর্ট ইত্যাদির সাথে জড়িত বলে আমরা শুনতে পেরেছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভ্যানচালক বলেন, নেটে কি ব্যান খেলে নাহিদ। লেখাপড়া করতে করতে আঙুল ফুলে কলা গাছ। কিছুদিন আগে ভাত পেলনা। এখন কিবা করে এসব করিচ্ছে। এটা কি হকের টাকা। এটা কিন্তু হকের টাকা না।
স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, তাদের অবস্থা ভালো ছিল না। নাহিদের দাদা এবং গোলামের বাবা রাইস মিলের ড্রাইভার ছিল। সে পৈত্রিকভাবে কোনো সম্পত্তি বা নগদ তেমন অর্থ পায়নি। শোনা যায় নেটের কি যেন করে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আগের বউয়ের কোনো দোষ ছিল না, তারপরও টাকা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। তাকে কিছু করতেও দেখিনি। এখন যে দোকান দিয়েছে সেটা লোক দেখানো শো হিসেবে।
তার নানার বাড়ি শ্যামপুর এলাকার একজন বৃদ্ধ বলেন, আমার বাড়ির পাশে কয়েক শতক জমি কিনেছে কিছুদিন আগে। এতো তাড়াতাড়ি কিভাবে এতো টাকা ইনকাম করছে সে সেটা সত্যিই রহস্যজনক।
আরেক মুরুব্বি একইভাবে বলেন, মোবাইলের মাধ্যমে ডলার ভাঙাচুরা করে নাহিদ। বৈধ পথে এতো তাড়াতাড়ি কোনোভাবেই সম্ভব না এভাবে সম্পদের মালিক হওয়া। এছাড়া নিজের বাড়ির পাশাপাশি মামার বাড়ির বড়ো বড়ো অনুষ্ঠানে নাহিদই খরচ করে,শুনেছি তার মায়ের নামেই অনেক গুলো ব্যাংকে একাউন্ট করে রেখেছে সে, নিজের নামে তো আছেই এগুলো অতি শীঘ্রই জব্দ করা হোক ও তার প্রতিটি ব্যাংক একাউন্ট নজরদারি করা হোক এটাই আমাদের দাবি। মাঝে মাঝে বিভিন্ন দেশে যাতায়াতও করে। এত টাকার মালিক হওয়া বৈধভাবে কখনোই সম্বব নয়।
স্থানীয় এক ফ্রিলান্সারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি যতদূর জানি সে অবৈধ ডলার লেনদেন, ক্যাশআপ সাপোর্ট, সিপিএ মার্কেটিং এগুলোর সাথে জড়িত, গত দুই- তিন বছরের মধ্যে প্রভাবশালী হওয়ায় তার ভয়ে কেউ মুখ খুলে না। তবে তার মায়ের নামে বেশিরভাগ ব্যাংক একাউন্ট খোলা এবং ভালোভাবে তদারকি করলে তার অবৈধ সম্পদ সব বের হবে। যদি কেউ ফিল্যান্সার হয় তাহলে বাংলাদেশী যে কোন ব্যাংকের মাধ্যমে আয়কৃত রেমিটেন্স তার একাউন্টে নিয়ে আসতে পারবে। ব্যাংকে ডুয়েল কারেন্সি একাউন্ট থাকতে হবে। এছাড়া রেমিটেন্স গ্রহণ করার জন্য যাবতীয় তার বৈধ কাগজপত্র ব্যাংক কৃর্তক জমা নিয়ে তাকে একটি একাউন্ট করে নিতে হবে। সে যদি প্রকৃতপক্ষে ফ্রিল্যান্সার হয় আইডি কার্ডের জন্য আইসিটি মন্ত্রনালয়ে আবেদন করতে হবে। তার পর আইডি গ্রহণ করে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে স্বীকৃতি নিতে হবে।
নাহিদের সেই দোকানের ব্যানারে তার মোবাইল নাম্বার প্রথমে দিলেও সরিয়ে নিয়ে পাশের দোকান ভাই ভাই কম্পিউটার এন্ড স্টুডিওর মালিক জাহিদ রানার মোবাইল নাম্বার দেয়া আছে এটির কারন খুঁজতে জানা যায় জাহিদ ও এগুলোর সাথে জড়িত এবং কিছু মাস আগে প্রায়ই জাহিদের দোকানে রাত্রি যাপন করে তাদের সে কাজগুলো পরিচালনা করেছে। জনমনে সন্দেহ সৃষ্টির পড়ে সেখানে আর তাদের রাত্রিযাপন করতে দেখা যায়নি। এদিকে নাহিদের ২য় বোউ, শাশুড়ি, শ্বশুর আরো কয়েকজনে সাথে নিয়ে মাঝে মাঝে রাজশাহী শহরের একটি অভিজাত ফ্লাটে থাকেন বলেও জানা গেছে।
এ বিষয়ে নাহিদ মুঠোফোনে বিষয়গুলো এড়িয়ে গিয়ে বলেন, আমার প্রথম স্ত্রী থাকাকালীন দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবার কাছে থেকে অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। অনলাইনে যে ডলার লেনদেন করছেন, সেটা কি বৈধভাবে করছেন। এমন প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, সেটা দেখার জন্য প্রশাসন আছে আপনি কে বলেই ফোনের সংযোগ কেটে দেয়।
নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) গাজিউর রহমান বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার অবৈধ লেনদেন হলে তা অবশ্যই অপরাধ। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগকে কেন্দ্র করে গতকাল মঙ্গলবার রাতে চল্লিশজন বঙ্গভবনে ঢুকার চেষ্টা করলো। পুলিশ কি করলো? কেনো তাদের প্রতিহত করা হলো না? একটি দুর্ঘটনা ঘটে গেলে এর দায়িত্ব কে নিতো?
বুধবার (২৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও, বন্দর বাঁচাও আন্দোলন-এর উদ্যাগ্যে "চট্টগ্রাম বন্দরের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশীদের হাতে তুলে দেবার ষড়যন্ত্রের" প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নূরুল হক নূর এ প্রশ্ন রাখেন।
নুর বলেন, বঙ্গভবনের সামনে গণঅধিকার পরিষদের একটি ব্যানারে বিক্ষোভ করা হয়। তারা গণঅধিকার পরিষদের কেউ নয়। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব স্পষ্ট বলেছেন, এটি একটি মীমাসিংত বিষয়। এটিকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। রাজনৈতিক দলের নেতারা যদি প্রয়োজন মনে করে তাহলে রাষ্ট্রপতি থাকবে আর যদি না চায় তাহলে থাকবে না। অতি উৎসাহী হয়ে কেউ দেশকে অস্থির করবেন না। আমরা সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই। তবে, সরকার যদি জনগণের স্বার্থে কাজ না করে তাহলে রাজপথেই তার প্রতিবাদ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, পতিত আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করেছিলো। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের অর্থনীতির বড় বড় উৎসগুলো বিদেশী শক্তির কাছে দিয়ে দিয়েছে। দেশের সম্পদ দেশের মানুষ পরিচালনা করলে কর্মসংস্থান বাড়বে এবং দেশের অর্থ দেশে থাকবে। কিছু অসাধু আমলা নিজেদের আখের গোছাতে দেশের ক্ষতি করছে।
রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মঞ্জুর হোসেন ঈসার সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএলডিপির মহাসচিব শাহাদাৎ হোসেন সেলিম, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, জমিয়ত ইসলামের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকবাল, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।
পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ এ পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে জেলা সদরসহ সারা দেশের নৌ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর ২টা থেকে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন চাকমা। তিনি বলেন, ৩ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত চলার সাথে সাথে নৌ যোগাযোগ বন্ধ রাখতে বলা আছে। একই সাথে মাছ ধরার নৌকাগুলোকে সতর্কতার সঙ্গে চলতে বলা হয়েছে।
অপরদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বুধবার ভোর থেকে নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত শুরু হয়। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে বৃষ্টিপাত কিছুটা বেড়েছে।
জেলা আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আরজুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলাতে ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা বাড়তে পারে। এ কারণে ৩ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে সকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বন্যায় বিভিন্ন সড়কে যে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে সেগুলোতে পানি জমে গেছে। এছাড়াও কিছু নিচু এলাকায় সাময়িক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। হঠাৎ বৃষ্টির কারণে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষজন।
সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় সচিবালয় ছাড়ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল ৪টার পর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বের হতে শুরু করেন। সবাই এক সঙ্গে বের হতে গিয়ে সচিবালয়ের ভেতরে ও গেটে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এর আগে, বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল পুনরায় প্রকাশ এবং ফলাফলে ত্রুটি সংশোধনের দাবিতে সচিবালয়ে ঢুকে পড়ে শতাধিক শিক্ষার্থী। পরে শিক্ষার্থীরা ৬ নম্বর ভবনের সামনে অবস্থান নেন। এসময় তারা ‘আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই; উই ওয়ান্ট জাস্টিস, মুগ্ধের বাংলায়- বৈষম্যের ঠাঁই নাই, তুমি কে আমি কে ছাত্র-ছাত্র; আপোষ না সংগ্রাম-সংগ্রাম-সংগ্রাম ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
এসময় তাদের আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করার কথা বলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তাদের সচিবালয় থেকে বের হতে বলে, তারা না মানায় লাঠিচার্জ করে বের করে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সেনাবাহিনী ও পুলিশের ব্যাপক লাঠিচার্জে তারা যে যার মতো পালিয়ে যান।
একাধিক শিক্ষার্থীদের কথা হলে তারা জানান, আমরা সমতার ভিত্তিতে ফলাফল চাই। বোর্ড থেকে কাউকে ভালো ফলাফল দেওয়া হয়েছে আর কাউকে কম। অথচ আমরা ভালো লিখেছি। আমরা চাই দ্রুত সময়ে এই ফলাফল বাতিল করে বঞ্চিতদের পুনরায় মূল্যায়ন করা হোক।