বিদেশে পাড়ি দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল এনু-রূপনের

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সংবাদ সম্মেলন

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সংবাদ সম্মেলন

মতিঝিলের ক্যাসিনো কাণ্ডের আলোচিত পলাতক আসামি দুই ভাই এনামুল হক ওরফে এনু ভূঁইয়া এবং রূপন ভূঁইয়া ভুয়া পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল বলে জানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা জানান সিআইডির ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ।

বিজ্ঞাপন

সিআইডির এই ডিআইজি বলেন, ঘটনার পরপরই তারা কক্সবাজার গিয়ে আত্মগোপন করে থাকে। সেখান থেকেই তারা ভুয়া পাসপোর্ট বানিয়ে বিদেশে পাড়ি দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। প্রথমে মায়ানমার, ভারত সর্বশেষ নেপাল যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের।

ডিআইজি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল কেরানীগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকালে তাদের কাছ থেকে আনুমানিক ৪০ লাখ টাকা পাওয়া যায়।

এদিকে ক্যাসিনো কাণ্ডের পর থেকেই এসব মামলার তদন্ত করছে সিআইডি।

আরও পড়ুন: ক্যাসিনো কাণ্ডে আলোচিত দুই ভাই এনু-রূপন গ্রেফতার

সিআইডি বলছে, তদন্তকালে এনামুল হক ইনু এবং রূপন ভুঁইয়ার নামে ঢাকায় ২২টি বাড়ি ও জমির সন্ধান পাওয়া যায়।  এছাড়াও তাদের ব্যবহৃত পাঁচটি যানবাহনের সন্ধান পাই। বিভিন্ন ব্যাংকে তাদের নামে ৯১টি ব্যাংক হিসাব বিবরণী পর্যালোচনা করে প্রায় ১৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা তথ্য পেয়েছি। যা বর্তমানে ফ্রিজ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত গত বছরের অক্টোবরে ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রূপনের বাসা থেকে নগদ ১৭ লাখ ১৬ হাজার ৩০০ টাকা এবং ৫ হাজার ১৬৩ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালংকার, যার আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা জব্দ করে।

গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এনামুল হক এবং তার ভাই থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রূপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে দুটি আলাদা মামলা করেছিল দুদক। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে করা বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ২১ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তাকে অবৈধ অর্থ অর্জনে সহায়তা করেছেন ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের কর্মচারী আবুল কালাম ও এনামুলের বন্ধু হিসেবে পরিচিত হারুন অর রশিদ।

রূপন ভূঁইয়া অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে নামে-বেনামে ১৪ কোটি ১২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।